সারাদেশে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। কুয়াশার এবং শৈত্য প্রবাহের পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
কুড়িগ্রামে টানা ১০ দিনের তীব্র শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ৩দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বাগেরহাট শহরসহ আশেপাশে এলাকায় হালকা বাতাস ও বৃষ্টিতে হাড় কাঁপানো শীতে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর,সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
চুয়াডাঙ্গায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে চলছে শৈত্য প্রবাহ। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট কাদা পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পথচারীরা।
দিনাজপুরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।সবচেয়ে বেকায়দায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
বৃষ্টি আর তীব্র শীতের সাথে কুয়াশার পাশাপাশি বৃষ্টির কারনে তীব্র শীতে ফরিদপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সব থেকে বেশী বিপদে হত দরিদ্ররা মানুষ।
গাইবান্ধায় কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীত থেকে রক্ষা পেতে এখন পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ভির করছে নিম্ন আয়ের মানুষ ।
কয়েকদিন ধরে মৃদশৈত্য প্রবাহ চলছে বগুড়ায়। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। চরম বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ।
মৌলভীবাজারে হালকা ও মাজারী বৃষ্টিপাত আর ঘন কুয়াশা ও কনকনে বাতাস বইছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় মৌলভীবাজারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
নেত্রকোনায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে যোগ হয়েছে শৈত প্রবাহ। এতে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা মানুষ। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
পাবনায় কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েক দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্ষের। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ময়মনসিংহে হাড়কাঁপানো শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বেড়েই চলেছে। তীব্র শীতে শিশু এবং বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২দিন শৈত্য প্রবাহ সহনীয় থাকার পর সিরাজগঞ্জে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। সেই সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।