সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে বলে আশঙ্কা
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
- / ১৭৭৭ বার পড়া হয়েছে
আগামী তিনদিন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভারি বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাস থাকায়, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্বখ্যাত পানি ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। গত তিনদিনে চেরাপুঞ্জিতে ২ হাজার ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে; যা ১২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আর অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত মনে করেন, সিলেটে এবারের বন্যার ভয়াবহতরা জন্য নদ-নদীর তীরবর্তী বাধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ দায়ী।
সিলেট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিটি করপোরেশন ও ১৩ উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। রেলস্টেশন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফ্লাইট ওঠা নামা করছে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও চরমভাবে বিঘ্নিত।
ভারতের আসাম-মেঘালয় ও ত্রিপুরার বন্যার প্রভাবে উজানের ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে হু হু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় মাঠ প্রশাসনের সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।
আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাত আগামী তিন/চার দিন অব্যাহত থাকবে। এতে সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর পানিও বাড়বে বলে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া দপ্তর ও মার্কিন আবহাওয়া মডেলসহ আন্তর্জাতিক তিনটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পুর্বাভাস দিয়েছে, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় শনি, রবি ও সোমবার ৬শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হবে। গবেষকরা বলছেন, এমটা হলে, সিলেট অঞ্চলে বন্যা আরও ভয়ংকর হবে।
সিলেট অঞ্চলে বন্যার ভয়াবহতার জন্য নদীর ত্রুটিপূর্ণ বাঁধকে দায়ী করেছেন অধ্যাপক ড.আইনুন নিশাত।
উজানে বৃষ্টিপাত বাড়লে, সিলেট অঞ্চলে বন্যার ভয়াবহতা আরও বাড়বে বলেই মনে করেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া।