সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি : ৮ উপজেলায় আরো অবনতি
- আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, সারি নদীসহ নদ-নদীর পানি এখনও সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বরং বিয়ানীবাজার,ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদরে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। হাকালুকি হাওরে পানি বেড়ে তীরবর্তী কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টিপাত আগামী দুই তিনদিন কিছুটা কমবে। এতে বন্যা পরিস্থিতিরউন্নতি ঘটবে। তবে মাস জুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত আবারও হতে পারে।
সিলেটের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পানি কিছুটা কমলেও অধিকাংশ বাড়িঘর এখনও তলিয়ে থাকায় আশ্রয় কেন্ত্র থেকে ফিরতে পারছে না মানুষ। বরং বিয়ানীবাজারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুমারগাঁও ও বরইকান্দি বিদ্যৎ উপকেন্দ্র সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে সচল হয়েছে। মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজনগরের লাঘাটা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিস্তির্ণ এলাকা। মৌলভীবাজারের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবণতি হয়েছে।
মৌলভীবাজারের প্রায় ৫০ ইউনিয়নের ৩২৫ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। সবমিলিয়ে বন্ধ রয়েছে জেলার ১৫৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের পাশাপাশি আশ্রয় নিয়েছে গবাদি পশু।
চারদিন বিদ্যুৎ ছিল না গোয়াইনঘাটে। একারণে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর পানি বাড়ছে। মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট বিদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছেভ
দু’চারদিন বৃষ্টিপাত কমবে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটবে। তবে আগামী সপ্তাহে আবারও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বন্যার্ত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, নগদ অর্থসহ দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।
পুরোপুরি নিরাপদ অবস্থানে সিলেটের কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল করায় এবং উদ্ধারও ত্রান তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলে জানালেন সিলেট সিটি মেয়র।
দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করেন বন্যার্তরা।