সিলেটে শিশু হত্যার ঘটনায় আয়ার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
- আপডেট সময় : ০৮:১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেট সরকারি ছোটমনি নিবাসে দুই মাস এগারো দিন বয়সী এক ছেলে শিশু কে হত্যার ঘটনায় আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ জানায়, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনস্থ সিলেট সরকারি ছোটমনি নিবাসে রাতের বেলা কান্না করাই কাল হয়ে দাঁড়ায় শিশুটির জন্য। কান্নায় বিরক্ত হয়ে দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা আয়া তাকে ছুঁড়ে ফেলে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। প্রায় ২০ দিন পর এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। অভিযোগ রয়েছে খুনের প্রমাণাদি গোপনের চেষ্টা করেন নিবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। ধামাচাপা দিতে অপমৃত্যুর মামলাও করা হয়-আর সেই মামলার তদন্তেই বেরিয়ে আসে এই অমানবিক ঘটনার দৃশ্য।
গত ২২ জুলাই রাত ১১টার দিকে ছোটমণি নিবাসে শিশু নাবিলের কান্নাকাটিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দায়িত্বে থাকা আয়া সুলতানা। এ সময় সে বিরক্ত হয়ে নাবিলকে বিছানা থেকে তুলে ছুড়ে ফেলে দেয় অন্য বিছানায়। খাটের স্টিলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে শিশুটি। এরপর তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে আয়া সুলতানা।
ঘটনার পর ২৩ জুলাই শিশুটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে সিলেট সরকারি ছোটমনি নিবাস কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের পর নাবিলের মরদেহ দাফন করা হয়। কিন্তু হত্যার বিষয়টি থেকে যায় আড়ালেই। সেই অপমৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে হত্যা রহস্য।
তবে ছোটমনি নিবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে মহাপরিচালক বরাবর।
আর স্পর্শকাতর এসব শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের পেশাদারিত্বের পাশাপাশি মানবিক শিক্ষার দাবি তুলছেন এই মানবাধিকার কর্মী।
পোস্টমর্টাম রিপোর্ট জানার পরও শিশু নাবিলের হত্যাকে অপমৃত্যুর মামলা করার পেছনে ইন্ধন দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন গুলো।