সেতুর উপর উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
প্রায় দুই যুগ আগে সেতু নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে মাটি নেই। ফলে সেতুর উপর উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে করে জনসাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। নেত্রকোনার হাওর এলাকায় অনেক সেতু এভাবে অকেজো পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে বিষয়টি উর্ধতর কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হবে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী, ফতেপুর ও নায়েকপুর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের হাজারো লোক জন একসময় প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করত মদন-ফতেপুর সড়ক দিয়ে। বিকল্প সড়ক থাকলেও দূরত্ব কম থাকায় এখনও হেঁটে চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এই সড়কে প্রায় ১১টি ছোট বড় সেতু রয়েছে। তবে ধলাই নদীর উপর ১৯৯৭ সালে নির্মিত সেতুটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর দুইপাশে এপ্রোচে মাটি সড়ে গেছে। সেতুতে উঠতে গিয়ে একপাশে বাঁশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষ। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শুধু তাই নয়, জেলার মদন, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন হাওর এলাকার অনেক সেতু এভাবে পড়ে রয়েছে। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত সেতু দিয়ে চলাচল করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোন কাজ হয়নি। এতে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দ্রুত সংস্কারের দাবী স্থানীয়দের।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রকৌশলী গোলম কিবরিয়া পিয়াল। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হবে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শুধু আশ্বাস নয়, সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার, এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।