০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচার হাসিনার বন্দুকের গুলি এখনো আটকে আছে সালমানের মেরুদণ্ডে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৮৪৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখনো সালমানের মেরুদণ্ডে আটকে আছে বন্দুকের গুলি। আওয়ামী সরকারকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছিল পুলিশ। হাসিনা পতনের প্রায় দেড় মাস পর এখনো বাড়ি ফিরতে পারেননি আহতদের অনেকেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা।

স্বৈরাচার হাসিনার পদত্যাগের ঠিক আগ মুহূর্তে গত ৫ আগস্ট দুপুরে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে একযোগে মাঠে নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা। তারা নিরীহ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছোঁড়ে। টিয়ার সেল আর মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের সামনেই এভাবে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলি করে শিক্ষার্থীদের। সমানতালে বুলেট ও ছররা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। (ফুটেজ-১)

একটি গুলি শিক্ষার্থী সালমানের পেট দিয়ে ঢুকে মেরুদণ্ডে আঘাত হানে। এতে তার খাদ্যনালীসহ সাতটি নাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অপারেশনের পর দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে খানিকটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। কিন্তু এখনো সেই বুলেট তার মেরুদণ্ডে বিঁধে আছে। (ফুটেজ-২)

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন চারজন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আহতদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড খুলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভর্তি আছেন তিন শিক্ষার্থী ও একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। হাসিনা পতনে তারা বিজয় উদযাপন করার সুযোগ না পেলেও দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ায় নিজেদের কষ্ট ভুলে গেছেন। (ফুটেজ-৩)

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। তাদের সবাই এখন ঝুঁকিমুক্ত।

হাসিনা পতনের আন্দোলনে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২৭জন। এরমধ্যে মারা গেছেন একজন শিক্ষার্থী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বৈরাচার হাসিনার বন্দুকের গুলি এখনো আটকে আছে সালমানের মেরুদণ্ডে

আপডেট সময় : ১২:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এখনো সালমানের মেরুদণ্ডে আটকে আছে বন্দুকের গুলি। আওয়ামী সরকারকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়েছিল পুলিশ। হাসিনা পতনের প্রায় দেড় মাস পর এখনো বাড়ি ফিরতে পারেননি আহতদের অনেকেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা।

স্বৈরাচার হাসিনার পদত্যাগের ঠিক আগ মুহূর্তে গত ৫ আগস্ট দুপুরে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে একযোগে মাঠে নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা। তারা নিরীহ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছোঁড়ে। টিয়ার সেল আর মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের সামনেই এভাবে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলি করে শিক্ষার্থীদের। সমানতালে বুলেট ও ছররা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। (ফুটেজ-১)

একটি গুলি শিক্ষার্থী সালমানের পেট দিয়ে ঢুকে মেরুদণ্ডে আঘাত হানে। এতে তার খাদ্যনালীসহ সাতটি নাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অপারেশনের পর দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে খানিকটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। কিন্তু এখনো সেই বুলেট তার মেরুদণ্ডে বিঁধে আছে। (ফুটেজ-২)

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন চারজন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আহতদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড খুলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভর্তি আছেন তিন শিক্ষার্থী ও একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। হাসিনা পতনে তারা বিজয় উদযাপন করার সুযোগ না পেলেও দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ায় নিজেদের কষ্ট ভুলে গেছেন। (ফুটেজ-৩)

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। তাদের সবাই এখন ঝুঁকিমুক্ত।

হাসিনা পতনের আন্দোলনে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২৭জন। এরমধ্যে মারা গেছেন একজন শিক্ষার্থী।