স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১১ জেলার ৭৭ উপজেলা
- আপডেট সময় : ১১:০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৫৯৩ বার পড়া হয়েছে
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১১ জেলার ৭৭ উপজেলা। পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ। বিভিন্ন জেলায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একদিকে তীব্র খাদ্য সংকট, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলার বেশিরভাগ এলাকা। বিঘ্নিত মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বানভাসী মানুষের।
কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। রেকর্ড বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। সময় যত বাড়ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা। ফেনী অংশে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পানি উঠে তীব্র হয়েছে যানজট। পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজির দুর্গত এলাকার মধ্যেই ৫ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে বিভিন্ন বাহিনী। অন্যদিকে বানের জলে তলিয়ে আছে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়িসহ ৭ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিতে ডুবে আছে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট। পানিবন্দি জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এদিকে..হবিগঞ্জে ধীর গতিতে নামতে শুরু করেছে খোয়াই নদীর পানি। তবে প্লাবিত হয়ে আছে জেলার ১৬টি ইউনিয়ন। বাড়িঘর-দোকানপাটে পানি উঠে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে বানভাসীদের। খোলা হয়েছে ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়ার প্লাবিত এলাকা থেকে ধীর গতিতে নামছে পানি। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছেন অনেকে। তবে এখনও পানিতে তলিয়ে আছে নিচু এলাকার বাড়িঘর-রাস্তাঘাট।
কক্সবাজারে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। জেলার প্রায় ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০ লাখ নগদ টাকা ও ৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে সেগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, পানি নামার পর ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানিতে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ৫ উপজেলার শতাধিক গ্রামে পানিবন্দি প্রায় ৭ লাখ মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন অনেকেই। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি