১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে যশোরে চলছে আট সেতুর নির্মাণ কাজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ১৭১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে বহাল তবিয়তে চলছে যশোরের পাঁচটি নদীর ওপর আট সেতুর নির্মাণ কাজ। বিআইডব্লিইটি’র নীতিমালা না মেনে সেতুর উচ্চতা ও প্রস্ততা ঠিক না রেখেই আগের নিয়মেই নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন ঠিকাদাররা।এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নদী রক্ষা ও সংস্কার আন্দোলন কমিটির নেতা ও নদী পাড়ের মানুষ।

অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখেই যশোরের ভৈরব, টেকা, মুক্তেশ্বরী, শ্রী ও বেতনা নদীতে আটটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২ বছর আগে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত ও নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটার আশংকা দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গেল বছর হাইকোর্টে রিট করেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। রুলসহ সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে তিনমাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়উচ্চ আদালত ।

এরপরও কাজ বন্ধ না হওয়ায় এ বছর মার্চে আবারো আবেদন করে এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা চান রিটকারী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গেল ২৮ মে শুনানিতে ওই আট সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ ও পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের অর্থ ছাড় বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে, হাইকোর্টের এ নির্দেশ অমান্য করে আগের নিয়মেই সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদাররা।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নদীর নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ঠিক রাখতে ও নৌচলাচলের উপযোগী করতে উচ্চতা ও প্রস্ততা ঠিক রেখে সেতু নির্মাণের।

তবে এ বিষয়ে বাবরবার যোগাযোগ করেও দেখা মেলেনি এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীর। পরে অফিস থেকে বলা হয়েছে তিনি অফিসিয়াল কাজে বিদেশে আছেন। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর হাজরাইল সেতুর ৯০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি সেতুর গুলোর মধ্যে ভৈরব নদীর ওপর রাজারহাট সেতু ব্যতীত অন্যগুলোর কাজ ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে যশোরে চলছে আট সেতুর নির্মাণ কাজ

আপডেট সময় : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে বহাল তবিয়তে চলছে যশোরের পাঁচটি নদীর ওপর আট সেতুর নির্মাণ কাজ। বিআইডব্লিইটি’র নীতিমালা না মেনে সেতুর উচ্চতা ও প্রস্ততা ঠিক না রেখেই আগের নিয়মেই নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন ঠিকাদাররা।এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নদী রক্ষা ও সংস্কার আন্দোলন কমিটির নেতা ও নদী পাড়ের মানুষ।

অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখেই যশোরের ভৈরব, টেকা, মুক্তেশ্বরী, শ্রী ও বেতনা নদীতে আটটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২ বছর আগে। এতে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত ও নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটার আশংকা দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে গেল বছর হাইকোর্টে রিট করেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। রুলসহ সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে তিনমাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়উচ্চ আদালত ।

এরপরও কাজ বন্ধ না হওয়ায় এ বছর মার্চে আবারো আবেদন করে এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা চান রিটকারী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গেল ২৮ মে শুনানিতে ওই আট সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ ও পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের অর্থ ছাড় বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে, হাইকোর্টের এ নির্দেশ অমান্য করে আগের নিয়মেই সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদাররা।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নদীর নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ঠিক রাখতে ও নৌচলাচলের উপযোগী করতে উচ্চতা ও প্রস্ততা ঠিক রেখে সেতু নির্মাণের।

তবে এ বিষয়ে বাবরবার যোগাযোগ করেও দেখা মেলেনি এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীর। পরে অফিস থেকে বলা হয়েছে তিনি অফিসিয়াল কাজে বিদেশে আছেন। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর হাজরাইল সেতুর ৯০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি সেতুর গুলোর মধ্যে ভৈরব নদীর ওপর রাজারহাট সেতু ব্যতীত অন্যগুলোর কাজ ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।