হাছানের চোখ পরলেই সন্ত্রাসী লেলিয়ে দখল করে নিতেন জমি
- আপডেট সময় : ১২:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৭৭১ বার পড়া হয়েছে
জমি দখলই নেশা হয়ে ওঠে পতিত স্বৈরাচার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের। সরকারী হোক আর ব্যক্তি মালিকানার হোক– হাছানের চোখ পরলেই সন্ত্রাসী লেলিয়ে দখল করে নিতেন বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের। গত তিন দিনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়ায় বন বিভাগের ১০৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে হাছান মাহমুদের কবল থেকে। বন কর্মকর্তারা জানান, সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দখলে থাকা ২১২ একর বনের জমি উদ্ধারে বার বার উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে পিছু হটতে হয়েছে তাদের।
রাঙ্গুনীয়ার দুধপুকুরিয়া এলাকার পাশাপাশি এমন তিনটি পাহাড় দখলের পর সংরক্ষিত বন উজার করে মাল্টা বাগান তৈরী করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ। পাহাড় তিনটির পাদদেশে বাধ দিয়ে তৈরী করেছে কৃত্তিম লেক। যেখানে চাষ করতের নানান প্রজাতির মাছ। ফুটেজ-১
বুধবার সকালে ৩০ একল আয়োতনের বিশাল এই জায়গাটিতে উচ্ছেদ অভি চালায় বন বিভাগ। কেটে দেয়া হয় গাছের চারা, খুলে দেয়া হয় বাধ। এসময় মাছ ধরার উৎসবে মাতে স্থানীয়রা।
শুধু দুধপুকুরিয়ায় নয়, একই উপজেলার সুখবিলাস গ্রামের পাহাড়ি এই লেকটি দখল করে গড়ে তুলেছিলেন রেস্টুরেন্ট। পাশের গ্রামে বন বিভাগের আরেকটি পাহাড়ে গড়েছিলেন গয়ালের ফার্ম। গত তিন দিন ধরে যা উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়রা গত ১৬ বছর ধরে দখলের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন হাছান মাহমুদ।ফুটেজ-২
জমি দখলের পাশাপাশি বিরোধি মত দমনেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন হাছান মাহমুদ। বিএনপিসহ বিরোধী দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও গত ১৬ বছর ধরে আসতে পারেননি এলাকায়। তাদের দাবি ঢাকা থেকে ভিডিও কলে নির্দেশনা দিতেন হাছান মাহমুদ আর রাঙ্গুনীয়ার প্রশাসনের ওপর রাজত্ব করতেন তার চার ভাই। ফুটেজ-৩
বন বিভাগ জানায়, ২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বনের জমির ওপর লোলুপ নজর পরে হাছান মাহমুদের। পরে মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হলে বারবার সরকারী জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েও আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির কারণে সফল হননি তারা। ফুটেজ-২
বন বিভাগের ২১২ একর সহ সরকারি খাস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫ শো একর জমি অবৈধ দখলে রেখেছে হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে যা অবিলম্বে দখলমুক্ত করার দাবি উঠেছে।