০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেই মরদেহ কাটার উন্নত যন্ত্রপাতি। হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ। মরদেহ বহনকারীদেরও হয়নি ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন। জোটেনা সরকারি- বেসরকারি সহযোগিতাও।

ভ্যানে মরদেহ বহনকারী ষাটোর্ধ মানুষটির নাম শকু মিয়া। দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা, ফাঁসির মরাসহ বেওয়ারিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লাশ বহন করেছেন তিনি। প্রতিমাসে পাঁচ থেকে সাতটি লাশ বহন করে থাকেন। প্রতি খেপে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পান। কোনো কারণে কাজে যেতে না পারলে, সংসার চলে না।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রতিমাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।কিন্তু, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় লাশ কাটতে হয় ছুরি, ব্লেড, হাতুর ও বাটাল দিয়ে। হিমঘর ও জেনারেটরও নেই। বিদ্যুত-পানির সমস্যা নিয়ে কাজে করতে হয় বলে জানায়, এই ডোম।

সমস্যার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন জানান, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন চাহিদা মন্ত্রানলায়ে পাঠানো হয়েছে।

মর্গে হিমাগারসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।

পাশাপাশি মরদেহ বহনকারী ব্যক্তিকেও সহকারি সহযোগিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ

আপডেট সময় : ০৩:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেই মরদেহ কাটার উন্নত যন্ত্রপাতি। হাতুর আর বাটাল দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতে চলছে ময়নাতদন্তের কাজ। মরদেহ বহনকারীদেরও হয়নি ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন। জোটেনা সরকারি- বেসরকারি সহযোগিতাও।

ভ্যানে মরদেহ বহনকারী ষাটোর্ধ মানুষটির নাম শকু মিয়া। দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা, ফাঁসির মরাসহ বেওয়ারিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার লাশ বহন করেছেন তিনি। প্রতিমাসে পাঁচ থেকে সাতটি লাশ বহন করে থাকেন। প্রতি খেপে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পান। কোনো কারণে কাজে যেতে না পারলে, সংসার চলে না।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রতিমাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।কিন্তু, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় লাশ কাটতে হয় ছুরি, ব্লেড, হাতুর ও বাটাল দিয়ে। হিমঘর ও জেনারেটরও নেই। বিদ্যুত-পানির সমস্যা নিয়ে কাজে করতে হয় বলে জানায়, এই ডোম।

সমস্যার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন জানান, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন চাহিদা মন্ত্রানলায়ে পাঠানো হয়েছে।

মর্গে হিমাগারসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।

পাশাপাশি মরদেহ বহনকারী ব্যক্তিকেও সহকারি সহযোগিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।