হেফাজতে ইসলামের ভেতরে-বাইরে টানাপোড়েন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর দলের ভেতরে-বাইরে দেখা দিয়েছে টানাপোড়েন। দলের মধ্যে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। আর বিশ্লেষকরা বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়াটা সংগঠনটিতে ভাঙনের সুত্রপাত হিসেবে দেখছেন। এদিকে হেফাজতের দাবি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব কখনোই সংগঠনের ওপর পড়বে না।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। এরপর থেকে ৭ বছর ধরে মাঝে মধ্যে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে সংগঠনটি। সরকারি এবং বিরোধী পক্ষ সবাই কাছে পেতে ব্যস্ত ধর্মীয় এই সংগঠনটিকে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শাহ শফি সংগঠনটির আমির আর সহকারী পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী মহাসচিব। ধর্মীয় দুই শীর্ষ নেতা এক মাদ্রাসার হওয়ায় সকলের কাছে হাটহাজারী মাদ্রাসাটিই হেফাজতের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত । কিন্তু হঠাৎ করেই মাদ্রাসার সহকারি পরিচালকের পদ থেকে বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়ায় দলের ভেতরে বাইরে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আবার দলের অনেক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্যকরা গেছে।
শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা নিয়ে বিরোধপুর্ণ বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকার শোকরানা মাহফিলে যোগ না দেয়াসহ নানান কারনে গত এক বছর ধরেই দুরত্ব তৈরী হয়েছিলো আল্লামা শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে। যার সবশেষ পরিনতি মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে বাবুনগরীকে সরিয়ে দেয়া। তবে এই ঘটনার কোন প্রভাব হেফাজতের ওপর পড়বেনা বলে দাবি সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদকের।
আর রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক এই সংগঠনটি গড়ে উঠলেও আল্লামা শফি আর জুনায়েদ বাবুনগরীকে ঘিরেই দলটির অস্তিত্ব। তাই শীর্ষ দুই নেতার বিরোধ শুধু মাদ্রাসার চার দেয়ালের ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকবেনা বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।
রোজার শুরুতে বয়সের ভারে আল্লামা শফি অসুস্থ হয়ে পরলে মাদ্রাসায় তার উত্তরসুরি নির্ধারণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরইমধ্যে বাবুনগরীকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম ঘোষণাও করেন তার অনুসারিরা। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি আল্লামা শফী। তাই হাসপাতাল থেকে ফিরেই মজলিসে শুরার বৈঠক ডেকে সরিয়ে দিলেন বাবুনগরীকে।