১৮ হাজার অচল গুদামে অবৈধ চালের বিশাল মজুদ
- আপডেট সময় : ০১:০২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৮০৫ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ১৮ হাজার অচল হাসকি মিলের গুদামে রয়েছে অবৈধ চালের বিশাল মজুদ। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর তৈরী করা সিন্ডিকেট কৌশলে অচল মিলগুলোর সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে ১০ দিনে হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি টাকা। আর খাদ্য বিভাগ বলছে, কথিত সিন্ডিকেটের অভিনব এই কৌশল দেরিতে হলেও ধরা পড়েছে।
এখন মজুদ থাকা চাল বাজারে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। ৭ জানুয়ারি। দেশব্যাপী যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল চলছে, ঠিক ওই দিনই ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালে ১ শো টাকা বাড়িয়ে দেয় চাল নিয়ে চালবাজি করা সংঘবদ্ধ চক্র। চালের বাজারে উর্দ্ধমুখি ধারা অব্যহত থাকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তা চালে দাম বাড়ে আড়াই শো থেকে ৪ শো টাকা।
চালের বাজারে অভিযানসহ প্রসাশনের কড়াকড়িত প্রতি বস্তায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমালেও তা স্বাভাবিক দামের চেয়ে বস্তায় আড়াইশো থেকে তিনশো টাকা বেশি রয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কারণ নেই। বহুজাতিক কোম্পানী আসায়, তারা সিন্ডিকেট করে অস্থির করে তুলছে চালের বাজার। মজুদের ক্ষেত্র হিসিবে ব্যবহার করা হচ্ছে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা অচল হাচকি মিলের গুদাম। খাদ্য বিভাগ বলছে, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা হাচকি মিলের অধিকাংশই এখন বন্ধ। কিন্তু তাদের গুদামে চাল মজুদ করার অনুমোদন আছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাল গুদামজাত করে কৃত্তিম সংকট তৈরীর অপচেষ্টা চালাচ্ছে কর্পোরেট গ্রুপ। খাদ্য বিভাগের হিসেবে, বছরে দেশে সাড়ে তিন কোটি টন চালের চাহিদা রয়েছে। যদিও উৎপাদন হয় তার চেয়ে বেশি। তারপরও বছরে আন্তত ৮ থেকে ১০ বার সংকটের অজুহাতে দাম বাড়ানো সবচেয়ে বড় এই নিত্য পণ্যটি।