১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তির সংগ্রামে উত্তাল ছিল বাংলার মাটি
- আপডেট সময় : ০৯:১৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
আজ ২ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে মুক্তির সংগ্রামে উত্তাল ছিল বাংলার মাটি। মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ থেকে সম্মুখ যুদ্ধের গতি বাড়ে। আর অপ্রতিরোধ্য বাঙালির বিজয়ের পথে পাকবাহিনীর নিষ্ঠুর সব পরিকল্পনা ভেঙ্গে পড়তে থাকে। একে একে হানাদার মুক্ত হতে থাকে বাংলার মাটি। বিজয় অর্জনের ইতিহাস জানাতে পুরো ডিসেম্বর জুড়ে রয়েছে এসএটিভি’র বিশেষ আয়োজন। বাংলার সূর্যসন্তানদের মহান বীরত্বের গাথা তুলে ধরছেন বিপুল দেব রায়।
১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনীর সাহসী মোকাবেলায় পিছু হটতে থাকে পাকিস্তানী নরপিশাচরা। একে একে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যান মুক্তিসেনারা।
এদিকে পঞ্চগড়ে রিংয়ের আকারে পাকিস্তানি বাহিনী প্রথম ও দ্বিতীয় ডিফেন্স লাইন তৈরি করেছিল। মিত্র বাহিনীর সহায়তায় গভীর রাতে পঞ্চগড় আক্রমণ করায় মুজিববাহিনী পঞ্চগড় ছেড়ে চলে যায়।
চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিণে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থান তাদের দখলে আনতে সক্ষম হয়।
এদিকে আখাউড়া, পঞ্চগড়, ভুরুঙ্গামারী, কমলাপুর, বনতারা, শমশের নগর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে হনাদার বাহিনী পিছু হটে যায়।
এদিকে বোমা বিস্ফোরণে ঢাকার রামপুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের পাঁচটি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন ও দুটি পেট্রোল পাম্প বিধ্বস্ত হয়। আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলেও হানাদার বাহিনী তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠে মুক্তিবাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ করে।
অন্যদিকে ভারতে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেসের কর্মিসভায় বলেন, জাতীয় স্বার্থের জন্য দেশের সর্বোচ্চ প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করা হবে। এ সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ ছাড়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশের এই পরম বন্ধু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সুদৃঢ হতে থাকে মুক্তিবাহিনী। স্বাধীন মাতৃকার নেশায় অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে এগোতে থাকে মুক্তিকামিরা।