১ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ১ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে মনপুরার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৫০ শয্যার একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে কোনমতে। মাত্র একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও একজন চিকিৎসক দিয়ে বিপুল জনগনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখানে সেবা নিতে আসা রোগীরা জ্বর, কাশি ও ছোট খাটো কাঁটাছেড়ার চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা পাওয়া যায় না। বড় ধরণের রোগের সেবা নিতে মেঘনা পাড়ি দিয়ে যেতে হয় জেলা শহর ভোলায়।
৪টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্যসেবার স্থান মনপুরা উপজেলা কমপ্লেক্স। তবে হাসতাপালটি বাইরে দিয়ে ফিটফাট কিন্তু ভেতরে সব সদরঘাট। পুরো হাসপাতালে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও একজন ডাক্তার দিয়েই চিকিৎসা সেবা চলছে বছরের পর বছর । এখানে দেড় লক্ষাধিক মানুষের এই দ্বীপে নেই নিরাপদ প্রসবের কোন ব্যবস্থা। রাত ১২টার পর ঘুমিয়ে পড়ে হাসপাতাল! কারণ এই দ্বীপে ১টার পর থাকেনা বিদ্যুৎ। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও নেই তেলের জন্য বরাদ্ধ। ঘুটঘুটে অন্ধকারে মোমের আলোয় চলে অনেক সময় জরুরী চিকিৎসা।
৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নতি করে উদ্বোধন করা হলেও এখনও মেলেনি প্রয়োজনীয় লোকবল। এই ব্যাপারে দাপ্তরিক চিঠি পাঠানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ডাক্তার, সেবিকা, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছে দ্বীপের বাসিন্দারা।
হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ ৯ টি। কিন্তু কাজ করছেন একজন চিকিৎসক। নার্স ১৬ জনের মধ্যে রয়েছে ৫ জন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ ৮৪ জনের মধ্যে ৪২ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে শূন্য। হাসপাতালে সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা দূরের কথা এক্সরে পর্যন্ত নেই। নেই কোন টেকনেশিয়ান ও ফার্মাসিষ্ট। দ্বীপবাসির দাবী অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় জনবল, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও নৌ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চত করা হোক।