০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

২০২৩ সালের পর আর এনালগ পদ্ধতিতে জাহাজ কাটতে দেয়া হবে না

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৩ সালের পর আর এনালগ পদ্ধতিতে জাহাজ কাটতে দেয়া হবে না; সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নড়ে চড়ে বসেছেন সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকরা। পরিবেশবান্ধব উপায়ে জাহাজ ভাংতে অন্তত ১০ টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডকে আধুনিকায়ন করে গ্রিন শিপইয়ার্ডে রুপান্তরের কাজ শুরু করেছেন তারা। সরকারের সহায়তা পেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে পরিণত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরো শিল্পকে আধুনিকায়ন করতে পারলে শ্রমিক ও পরিবেশের নিরাপত্ত্বার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উজ্জল ভাবমুর্তি তৈরী হবে বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে উত্তর সোনাইছড়ি পর্যন্ত সাগর পাড়ের উপকুলীয় এলাকাটি শিপ ব্রেকিং জোন হিসেবে নির্ধারিত। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সাগরে চলাচলের উপযোগিতা হারানো জাহাজগুলো রিসাইক্লিং করার জন্য এই এলাকাটিতে গড়ে উঠেছে দেড়শোর বেশি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। কিন্তু বেশিরভাগ ইয়ার্ডগুলোতেই পরিবেশের সুরক্ষা আর শ্রমিকদের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত হয়নি এখনো।

তাই ২০২৩ সালের মধ্যে এই শিল্পের আধুনিকায়নের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে রুপান্তরের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে প্রাথমিকভাবে ১০ টি ইয়ার্ড আধুনিকায়নের কাজও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ।

আর এই খাতের উদ্যোক্তারা জানান, স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির সময় ব্যাংকের সহায়তা পেলেও ইয়ার্ড ডেভলপ প্রজেক্টের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ঋণ সহায়তার সুযোগ নেই। তাই বড় বড় কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ে গ্রিন ইয়ার্ডে রুপান্তর করতে পারলেও ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পড়বে জটিলতায়।

আর এই খাতের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রধান প্রতিবন্ধকতা পরিবেশ আর শ্রমিক নিরাপত্ত্বা। এই দুটি বিষয়ে উন্নতি করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারেও উজ্জল হবে দেশের ভাবমুর্তি।

বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানই বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি স্ক্র্যাপ জাহাজ রিসাইক্লিং করে। ভারত আর পাকিস্তানের অধিকাংশ ইয়ার্ড অনেক আগেই গ্রিন হলেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো শিল্পটিকে উন্নত করতে পারলে ঘুরে দাড়াবে বাংলাদেশও।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২০২৩ সালের পর আর এনালগ পদ্ধতিতে জাহাজ কাটতে দেয়া হবে না

আপডেট সময় : ০২:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

২০২৩ সালের পর আর এনালগ পদ্ধতিতে জাহাজ কাটতে দেয়া হবে না; সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নড়ে চড়ে বসেছেন সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকরা। পরিবেশবান্ধব উপায়ে জাহাজ ভাংতে অন্তত ১০ টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডকে আধুনিকায়ন করে গ্রিন শিপইয়ার্ডে রুপান্তরের কাজ শুরু করেছেন তারা। সরকারের সহায়তা পেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে পরিণত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরো শিল্পকে আধুনিকায়ন করতে পারলে শ্রমিক ও পরিবেশের নিরাপত্ত্বার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও উজ্জল ভাবমুর্তি তৈরী হবে বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে উত্তর সোনাইছড়ি পর্যন্ত সাগর পাড়ের উপকুলীয় এলাকাটি শিপ ব্রেকিং জোন হিসেবে নির্ধারিত। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সাগরে চলাচলের উপযোগিতা হারানো জাহাজগুলো রিসাইক্লিং করার জন্য এই এলাকাটিতে গড়ে উঠেছে দেড়শোর বেশি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। কিন্তু বেশিরভাগ ইয়ার্ডগুলোতেই পরিবেশের সুরক্ষা আর শ্রমিকদের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত হয়নি এখনো।

তাই ২০২৩ সালের মধ্যে এই শিল্পের আধুনিকায়নের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে রুপান্তরের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে প্রাথমিকভাবে ১০ টি ইয়ার্ড আধুনিকায়নের কাজও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ।

আর এই খাতের উদ্যোক্তারা জানান, স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির সময় ব্যাংকের সহায়তা পেলেও ইয়ার্ড ডেভলপ প্রজেক্টের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ঋণ সহায়তার সুযোগ নেই। তাই বড় বড় কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ে গ্রিন ইয়ার্ডে রুপান্তর করতে পারলেও ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পড়বে জটিলতায়।

আর এই খাতের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রধান প্রতিবন্ধকতা পরিবেশ আর শ্রমিক নিরাপত্ত্বা। এই দুটি বিষয়ে উন্নতি করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারেও উজ্জল হবে দেশের ভাবমুর্তি।

বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানই বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি স্ক্র্যাপ জাহাজ রিসাইক্লিং করে। ভারত আর পাকিস্তানের অধিকাংশ ইয়ার্ড অনেক আগেই গ্রিন হলেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো শিল্পটিকে উন্নত করতে পারলে ঘুরে দাড়াবে বাংলাদেশও।