২৯৮টি কন্টেইনার বোঝাই বিভিন্ন ধরণের পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ০১:৫০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
বছরের পর বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন অফডকে পড়ে থাকা ২৯৮টি কন্টেইনার বোঝাই বিভিন্ন ধরণের পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহের পুরোটা সময় জুড়ে চলবে এই ধ্বংসযোগ্য। কাস্টমস বলছে, মামলাসহ আইনগত জটিলতা শেষে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর শিপিং এজেন্টদের দাবি, বন্দরকে সচল রাখতেই পণ্য ধ্বংসের এই প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে হবে কাস্টমসকে। আর আমদানীকারকরা বলছেন, ধ্বংসের চেয়ে নিলাম প্রক্রিয়া সহজ করলে উপকৃত হতো দেশের জাতীয় অর্থনীতি।
চট্টগ্রামের হালিশহরের সিটি কর্পোরেশনের ভাগাড়ের পাশের মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হচ্ছে বিপুল পরিমান পল্ট্রি ফিড, মটর, ছোলাসহ বিভিন্ন ধরণের পচনশীল পণ্য। চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন অফডকে বছরের পর বছর পড়ে থাকা কয়েক হাজার কন্টেইনারের মধ্যে এই দফায় ২৯৮টি কন্টেইনারের পণ্যগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। কর্মকর্তাদের দাবি, জাহাজ থেকে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে নিলামে দেয়ার নিয়ম থাকলেও আইনগত জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে তা করা সম্ভব হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তাই পচনশীল পণ্যের বড় একটি অংশই কন্টেইনারে নষ্ট হয় । ফুটেজ-১
শিপিং এজেন্টদের দাবি , বছরের পর বছর এসব কন্টেইনার অলস বসে থাকায় বিদেশী কোম্পানীর কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, যে কোন ধরনের পণ্য আমদানীতে খরচ হয় বৈদেশিক মুদ্রা। তাই পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে কন্টেইনার অবমুক্ত করলেও এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে।
৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারনের সক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। গতকাল পর্যন্ত ৪০ হাজার টিউসের কাছাকাছি কন্টেইনারের স্তুপ আছে বন্দরের টার্মিনালগুলোতে। এরমধ্যে নিলামযোগ্য কন্টেইনারের পরিমান প্রায় ৭ হাজার টিউস।