৬২ বছরেও ড্রেজিং হয়নি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে
- আপডেট সময় : ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ৬২ বছরেও ড্রেজিং হয়নি রাঙামাটিতে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদ। পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় হ্রদটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে। হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় নৌ-পথে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ড্রেজিং করে হ্রদের নাব্যতা ফেরাতে না পারলে মৎস্য উৎপাদন ও নৌ যোগাযোগে সংকট আরো প্রকট হবে।
১৯৬০ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর প্রবাহে বাঁধ দিলে সৃষ্টি হয় কাপ্তাই হ্রদ। যার আয়তন ৭০৫ বর্গ কিলোমিটার। এ হ্রদে মিশে গেছে মাইনি, চেংগি, কাচালং, রাইংক্ষংসহ ৬টি নদী। এ হ্রদকে ঘিরে লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। জেলা সদরের সাথে লংগদু, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচ উপজেলার যোগাযোগ এবং ব্যবসা বানিজ্যের একমাত্র মাধ্যম এই হ্রদ।
কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় হ্রদের নাব্যতা কমে গেছে। এতে প্রতি বছর খরা মৌসুম এলে হ্রদে জেগে উঠে অসংখ্য ডুবোচর। প্রায় ৬ মাস ধরে ব্যাহত হয় নৌ-চলাচল। এ সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ছয় উপজেলার মানুষকে।
এ দূরাবস্থা চলতে থাকলে কাপ্তাই হ্রদ পরিত্যক্ত জলাশয়ে পরিণত হবে। মৎস্য উৎপাদন কমে যাওয়া সহ কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভর করা পাহাড়ের অর্থনীতিতে ধ্বস নামার আশংকা রয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের জন্য নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যা দ্রুত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
কাপ্তাই হ্রদ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।