১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

৬ মাসে ২ লাখ মামলার জট চট্টগ্রামের আদালতে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার কারনে ৬ মাসে বিচারকাজের ধীরগতিতে ২ লাখ মামলার জট বেধেছে চট্টগ্রামের আদালত ভবনে। বিচারক সংকটে বিভাগীয় স্পেশাল জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ ১৬ টি গুরুত্বপুর্ণ আদালত চলছে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে। সংকট নিরসনে প্রধান বিচারপতিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর গুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা আইনজিবি সমিতি। আইনজীবী নেতারা বলছেন, আদালত বাড়ানোসহ বিচারক সংকটের সমাধান না করলে ন্যায় বিচার পাবেন না বিচার প্রত্যাশীরা।

ছোট-বড় হাজারো শিল্প-কারখানা অধ্যুষিত বাণিজ্যিক বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সবকটি ব্যাংকের শাখাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে শতাধিক। অথচ এতগুলো প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে অর্থঋণ আদালত আছে মাত্র একটি। যাতে জমে আছে ১০ হাজারের কাছাকাছি মামলার জট।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩। পরিসংখ্যন বলছে গেল ৭ বছরের মধ্যে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে চলছে গুরুত্বপুর্ণ আদালতটির যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে প্রতিনিয় দুর-দুরান্ত থেকে আসা হাজারো নারী-পুরুষ বিচার প্রত্যাশীরা দুর্ভোগে পরছেন। চুরান্ত রায় তো দুরের কথা একটি শুনানির জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস।

শুধু এই দুটি আদালতই নয়, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত, অতিরিক্ত জেলা জজ দেউলিয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত, ঘরভাড়া নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত আদালত, ফ্যামেলী কোটসহ অন্তত ১৬ টি আদালতে বিচারক নেই দীর্ঘদিন ধরে। অন্য আদালতের বিচারককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রুটিন কাজ হলেও গতি আসছে না বিচারিক কার্যক্রমে। এর ওপর করোনার কারণে জটিলতা বেড়েছে অধিক হারে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন আইন পাশ হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। কিন্তু এসব আইন প্রয়োগে সীমাবদ্ধতা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ক্রমেই সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিচারক সংকটের এই চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে প্রধান বিচারপতিসহ আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সাম্প্রতি। তাদের দাবি, দ্রুত বিচারক সংকটের সমাধান করতে না পারলে আদালতগুলোতে মামলার জট দীর্ঘায়িত হতে থাকবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৬ মাসে ২ লাখ মামলার জট চট্টগ্রামের আদালতে

আপডেট সময় : ০২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

করোনার কারনে ৬ মাসে বিচারকাজের ধীরগতিতে ২ লাখ মামলার জট বেধেছে চট্টগ্রামের আদালত ভবনে। বিচারক সংকটে বিভাগীয় স্পেশাল জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ ১৬ টি গুরুত্বপুর্ণ আদালত চলছে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে। সংকট নিরসনে প্রধান বিচারপতিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর গুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা আইনজিবি সমিতি। আইনজীবী নেতারা বলছেন, আদালত বাড়ানোসহ বিচারক সংকটের সমাধান না করলে ন্যায় বিচার পাবেন না বিচার প্রত্যাশীরা।

ছোট-বড় হাজারো শিল্প-কারখানা অধ্যুষিত বাণিজ্যিক বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সবকটি ব্যাংকের শাখাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে শতাধিক। অথচ এতগুলো প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে অর্থঋণ আদালত আছে মাত্র একটি। যাতে জমে আছে ১০ হাজারের কাছাকাছি মামলার জট।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩। পরিসংখ্যন বলছে গেল ৭ বছরের মধ্যে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে চলছে গুরুত্বপুর্ণ আদালতটির যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে প্রতিনিয় দুর-দুরান্ত থেকে আসা হাজারো নারী-পুরুষ বিচার প্রত্যাশীরা দুর্ভোগে পরছেন। চুরান্ত রায় তো দুরের কথা একটি শুনানির জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস।

শুধু এই দুটি আদালতই নয়, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত, অতিরিক্ত জেলা জজ দেউলিয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত, ঘরভাড়া নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত আদালত, ফ্যামেলী কোটসহ অন্তত ১৬ টি আদালতে বিচারক নেই দীর্ঘদিন ধরে। অন্য আদালতের বিচারককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রুটিন কাজ হলেও গতি আসছে না বিচারিক কার্যক্রমে। এর ওপর করোনার কারণে জটিলতা বেড়েছে অধিক হারে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন আইন পাশ হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। কিন্তু এসব আইন প্রয়োগে সীমাবদ্ধতা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ক্রমেই সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিচারক সংকটের এই চিত্র তুলে ধরে তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে প্রধান বিচারপতিসহ আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সাম্প্রতি। তাদের দাবি, দ্রুত বিচারক সংকটের সমাধান করতে না পারলে আদালতগুলোতে মামলার জট দীর্ঘায়িত হতে থাকবে।