৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সূচনা করে এক বিশেষ অধ্যায়ের
- আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সূচনা করে এক বিশেষ অধ্যায়ের। ২০০৭ সালের এদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি আর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশে ফিরে আন্দোলনের হাল ধরেছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে নিরংকুশ বিজয় পেয়ে সরকার প্রধান হিসেবে ধরেন দেশের হাল। শুরু হয় সামনের দিকে পথচলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
২০০৭ সাল। দেশে চলছে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন আর ঘোষিত জরুরী অবস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে চাইলে সম্মুখিন হন কঠিন বাঁধার। শেখ হাসিনাকে দেশে প্রবেশ করতে না দেয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জারি করে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা।
গুম, গ্রেপ্তার, দেশান্তরের নানা হুমকী মাথায় নিয়েই দেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ফখরুদ্দিন সরকারের অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কেবল দেশেই নয় ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে। এক পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
অবশেষে ৭ মে, সাহসী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন। ধানমণ্ডি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত লাখো মানুষের ঢল। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মাটি ছুঁলেন। জনতা হৃদয়ের উষ্ণতা দিয়ে অভ্যর্থণা জানায় গন্ত্রতন্ত্রের এই পথিকৃৎকে। দেশে ফিরেই গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু করেন নতুন সংগ্রাম।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ১১ মাস কারান্তরীণ রাখা হয়। গণতন্ত্রকামী এই নেতার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দিন – মইন উ আহমেদের সরকার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।