সরকারের বেঁধে দেয়ার পরেও আলু বিক্রিতে তার কোন প্রভাব পড়েনি বাজারে
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
সরকারের বেঁধে দেয়ার পরেও আলু বিক্রিতে তার কোন প্রভাব পড়েনি দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার বাজারে। বিক্রেতারা বলছে, হিমাগার থেকেই বেশী দামে আলু কিনেছেন তারা। নির্দিষ্ট দামে আলু বিক্রি করতে গেলে তাদের প্রতি কেজিতে লোকসান হবে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা। এদিকে আলুর এমন অস্বাভাবিক দামে নাকাল ক্রেতা সাধারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মৌসুমে কৃষকের কাছে আলু না থাকায় মুনাফা তুলছে মধ্যস্বত্বভোগী।
গেল ১৪ অক্টোবর খুচরা, পাইকারি ও হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা এবং খুচরা ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দিনাজপুরের আলুর বাজারে এই চিত্র ভিন্ন। বেধে দেয়া দামের বাইরে বিক্রি হচ্ছে আলু। বিক্রেতারা বলছেন, হিমাগার থেকেই বেশী দামে কিনেছেন তারা খুচরা বিক্রেতাদের একই যুক্তি। বেশী দামে কিনেছেন বলে নিরুপায় তারা। আর কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বিবেচনায় সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
আলুর অস্বাভাবিক দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর মানুষের। দাম নিয়ন্ত্রণ সরকার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে অর্থনীতি সমিতির নেতা বললেন, কৃষকের উৎপাদন খরচ বিবেচনায় খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫ টাকা করা উচিত। যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক, বাজারে পর্যাপ্ত তদারকি না থাকলে ভেস্তে যাবে সব উদ্যোগ, এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।