টানা তিনদিনের নৌযান ধর্মঘটে শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৩:০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
তিনদিনের টানা নৌযান ধর্মঘটে শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অর্ধশতাধিক জাহাজের জট লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে অন্তত ১৫ দিন। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব তারাতারি সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা। আর বন্দর ব্যবহারকারিরা বলছেন, বন্দরকে জিম্মি করে এই ধরণের কর্মসুচী কারো জন্য সুখকর না। লাইটার জাহাজ শ্রমিক নেতারা এসএ টিভিকে বলেন, শতভাগ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ খাতের শ্রমিক অসন্তোষ থামবে না।
কখনো মালিক, কখনো শ্রমিক। পান থেকে চুন খসলেই আন্দোলনের নামে ধর্মঘট শুরু করেন নৌযান সংশ্লিষ্টরা। এতে বছরে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার নৌপথে পণ্য পরিবহনে নেমে আসে স্থবিরতা। যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হয় দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর। কারণ আমদানী করা পণ্যের অন্তত ৬০ ভাগই খালাস হয় বহি:নোঙ্গরে ছোট আকারের লাইটার জাহাজের মাধ্যমে। তাই অভ্যন্তরিন নৌযান ধর্মঘটে থমকে যায় পণ্য খালাস।
টানা তিন দিন পর কিছু দাবি মেনে নেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও সন্তুষ্টু নন আন্দোলনকারিরা। শতভাগ দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে ফের আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
তিন দিনের এই ধর্মঘটে শুধু খোলাপণ্যবহনকারী ৫২ টি জাহাজের জট লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গরে। মাদার ভেসেল অলস বসে থাকলে আমদানি কারকদের জাহাজপ্রতি ডেমারেজ গুনতে হয় কমবেশি ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি। এতে বহি:বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ভাবমুর্তি। এমনটাই দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের।
আমদানী করা খোলা পণ্যের প্রায় পুরোটাই খালাস করা হয় বহি:নোঙ্গরে। এছাড়া ৯ মিটারের বেশি গভিরতার জাহাজগুলোও আউটারে কিছু পণ্য নামিয়ে ড্রাফট কমিয়ে নোঙ্গর করে বন্দরের জেটিতে। গেল তিন দিন সেখানেও ঘটেছে বিপত্তি। যদিও সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে সংকট মোকাবিলার আশা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালিক ও শ্রমিকদের সমন্ময়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে যে কোন আন্দোলন কর্মসুচীতে বন্দর কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যপারে ঐক্যমত্য হন সবাই। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান বন্দর ব্যবহারকারিরা।