খুনের নগরীতে পরিণত হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম
- আপডেট সময় : ০২:১০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
খুনের নগরীতে পরিণত হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। গেল একমাসে অন্তত এক ডজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে নগরীতে। পান থেকে চুন খসলেই হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংশতায় মেতে উঠছে দুবৃত্ত্বরা। যদিও পুলিশের দাবি প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছেন । এদিকে প্রবীণ আইনজীবীরা এসএ টিভিকে বলছেন, অপরাধী গ্রেফতার হলেও বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না হওয়ায় দমছেনা সন্ত্রাসীরা। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে এমন ভয়াবহতা রোধ করা কঠিন হবে।
গত মাসের শেষের দিকে চাঁন্দগাঁওয়ের একটি বাড়ি থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টিভিতে ক্রাইম পেট্রোল দেখে হত্যায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় একই এলাকার মুদি দোকানী মোহাম্মদ রফিক। ক’দিনের মাথায় র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারের পর ঘটনার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দ্বী দেয় রফিক। ফুটেজ-১
গেল ১৪ অক্টোবর পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে ইপিজেড এলাকার বিকাশ এজেন্ট বিজয় কুমার দাশকে হত্যার পর মরদেহ ককশিটে ভরে পার্শ্বেল হিসেবে ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একই এলাকার ঠিকাদার আব্দুর রহমান। পরিবহনের সময় ককশিট ভেঙ্গে যাওয়ায় একটি নির্জন গলিতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় রহমান। গেল এক মাসে অন্তত একডজন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। জানতে চাওয়া হলে পুলিশ দাবি করে এতে আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি হয়নি।
এ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী এসএ টিভিকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারলেও বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হচ্ছে না খুব একটা। তাই একের একের পর হত্যাকান্ড এবং অপরাধ বেড়েই চলছে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন এসএ টিভিকে বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতে প্রত্যেকের ভুমিকা আছে। যার যার জায়গা থেকে সচেতনতা ও অবদান রাখতে না পারলে এমন নৃশংশতা রোধ করা কঠিন।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়েছে। এছাড়া, চাঞ্চল্যকর এসব হত্যা মামলার বিচারে দীর্ঘসুত্রিতার নজিরও আছে। এমন নানা কারণে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।