পার্সেলকৃত মালামালের শুল্ক ও মুসক প্রদান পত্র থাকলেও মানছে না কুষ্টিয়া কাষ্টমস্ এন্ড ভ্যাট বিভাগ
- আপডেট সময় : ০৫:১৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
সরকারী নিদের্শনা অনুযায়ী পার্সেলকৃত মালামালের শুল্ক, মুসক প্রদান পত্র থাকলেও তা মানছে না কুষ্টিয়া কাষ্টমস্ এন্ড ভ্যাট বিভাগ। বরং এটি জাল, বানোয়াট বলে পাল্টা অভিযোগ তুলছেন তারা । তাই যখন তখন পার্সেল পরিবহন, সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জায়গায় কাস্টমস অভিযান চালিয়ে নাজেহাল করছেন ব্যবসায়ীদের । হয়রানি কমাতে কাষ্টমস্’র সঠিক তদারকারীর দাবী এখানকার সচেতন নাগরিক কমিটির।
শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া কাষ্টমস’র একটি দল হটাৎ এমন অভিযোগ নিয়ে অভিযান চালায় এস এ পরিবহন পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস কুষ্টিয়া কার্যালয়ে। সেখানে কত্যর্বরত ম্যানেজারকে কি কি মালামাল বুকিং আছে জানতে চায়। উত্তর দেয়ার আগেই ১২ বস্তা বিড়ি বুকিং’র কাগজ দেখতে চায় তারা। সেখানে পার্সেলের মোমোর সাথে ৬.৩ চালান পত্র তাদেরকে দেখালে তারা সেগুলো জাল, বানোয়াট বলে। একটি সাদা কাগজে ম্যানেজারকে জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি এবং মুসক পত্র জাল বলে অঙ্গিকার নামা লিখে তাতে স্বাক্ষর করিয়ে ওই ১২ বস্তা বিড়ি তুলে নিয়ে যায়। এতে বুকিং দেয়ার ব্যক্তির সাথে বাকবিতন্ডায় পার্সেল পরিবহন। হঠাৎ এমন অভিযানে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় কর্মচারীরা।
মুসক ও চালান পত্র জাল, ব্যান্ডরোল জাল তা বোঝার উপায় কি। তার কোন উত্তোর না দিয়েই অঙ্গিকার নামা লিখে নিয়ে চলে যায় কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ এস পরিবহনের এ্ই ম্যানেজারের।
এ সব বিষয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়া কাষ্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। মুঠোফোনে কয়েকবার রিং দিলে তা রিসিভ করেনি কাষ্টমস’র ডিসি উত্তম বিশ্বাস। কাষ্টমস্’র সঠিক তদারকী না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী সচেতন নাগরিক কমিটির এই নেতার।
জাতীয় রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারের এমন একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানের আইন বর্হিভুত, যখন, তখন জনসাধারণকে নাজেহাল করায় কুষ্টিয়া কাষ্টমস কার্যক্রম নিয়ে ব্যবসায়ীসহ সকল মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তাদেরকে সঠিক তদারকীর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এখানকার সচেতন মহল।