আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনের ৭ দিনের রিমাণ্ড
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
আদাবরের ‘মাইন্ড এইড’ নামের মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রের কোন অনুমোদন ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চিকিৎসার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা ঘটার পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্য আদালতকে জানান আদাবর থানার তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক মোল্লা। এদিন পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার ১০ আসামীর সবাইকে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেয়।
৯ নভেম্বর ২০২০। দুপুর পৌনে ১২টায় আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমের দৃশ্য এটি। মানসিক ভাবে অস্থির রোগীকে স্থির করার নামে ১৫ মিনিট ধরে চলে অকথ্য নির্যাতন। জীবন বাঁচাতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন সহকারী পুলিশ কমিশনার আনিসুল করিম শিপন। অনুসন্ধানে জানা যায় কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসার নামে ব্যবসা করছিল মাইন্ড এইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৩১তম বিসিএস এ প্রথম স্থান অধিকারী মেধাবী এই পুলিশ কর্মকর্তার করুণ মৃত্যুতে দেশজুড়ে উঠে সমালোচনার ঝড়, গ্রেফতার করা হয় ১০ আসামীকে। অনুমোদন ছাড়া কিভাবে, কাদের সহায়তায় এবং কেন নির্মম হত্যা সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সব আসামীর ১০ দিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামীদের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
মৃত রোগীর সাথে আসামীদের কোন পূর্ব শত্রুতা ছিল না দাবী করে আসামীপক্ষ জানায় শিপনের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা চিকিৎসার স্বার্থে।
চিকিৎসার নামে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের যে ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সে বিষয়ে মুল্যায়ন জানতে চাইলে আসামীপক্ষ স্বীকার করে হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতিতে ত্রুটি ছিল।