উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে দস্যুবাহিনীর মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে দস্যুবাহিনীর মদদদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাঁশখালী সী-বোট মালিক সমিতির নেতারা। মদদদাতাদের নির্মূল করা না গেলে জলদস্যু নির্মূল করা সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তারা। আর, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুর স্বজনদের দাবি, নানা মামলা দিয়ে তাদেরকে জলদস্যু বানানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন ইস্যূতে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে। আর, সমুদ্র ও তীরবর্তী এলাকার নিরাপত্তায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান রেবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
প্রসাশনের কঠোর তৎপরতায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের চারটি জেলার জলদস্যুরা অন্ধকার জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে রেবের কাছে আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে গেল ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ৬ জনসহ ১১টি বাহিনীর মোট ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাদের স্বজনরা।
এসময় কথা হয় “সেলিম বাহিনীর প্রধান” সেলিমের স্ত্রী পারভীন আক্তারের সঙ্গে। তিনি তার স্বামীর এই জীবনে প্রবেশ করার গল্প তুলে ধরেন। মহেশ্বখালীর মনাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা আত্মসমর্পনকারী জলদস্যু আবু বকর সিদ্দিক। তার স্ত্রী আফরোজা ও বোন বিথি জানান জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে একাধিক মামলার আসামী বানায় আবু বকর সিদ্দিককে।
বাঁশখালী সী-বোর্ড বণিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সমুদ্র এলাকায় জলদস্যুদের অপহরণ ও চাঁদাবাজি বন্ধে মদদদাতারদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান তারা। আর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যু ও বনদস্যুদের উৎপাত নিমূল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান, রেবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিকা বিল্লাহ। জলে ও স্থলে যে কোন জায়গায় দস্যুবৃত্তি রোধে প্রশাসন সবসময় সতর্ক রয়েছে বলে জানায় রেবের এই কর্মকর্তা।