১১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বার বার মেয়াদ বাড়িয়েও মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না সরকার

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বার বার মেয়াদ বাড়িয়েও মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না সরকার। বাজারে ধানের দাম বেড়ে গেছে– এমন অজুহাতে নির্ধারিত দামে গুদামে চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। তাদের মতে, কৃষকের কাছ থেকে ধান আর মিলারদের কাছ থেকে চাল একসঙ্গে সংগ্রহ শুরু করায় বাজার এখন চড়া। তাই দাম না বাড়ালে লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দিতে পারবেন না তারা। যদিও মিলারদের এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল দেখছেন না চাল ব্যবসায়ীরা। আর খাদ্য অধিদফতর বলছে, মাঠের আমন ধান পুরোপুরি উঠে গেলে কেটে যাবে সব অনিশ্চয়তা।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সারাদেশে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। মাঠের ধান গোলায় ওঠাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কোথাও আবার বাজারেও উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। এমন ভরা মৌসুমে সরকারী নীতি অনুযায়ী বাজারে কৃষককে ন্যায্য দাম দিতে আর স্বাভাবিক মজুদের জন্য ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। নিয়মানুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে ধান আর মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহে এরই মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দাম ও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে খাদ্য বিভাগ কিছু ধান পেলেও মিলাররা চাল দিচ্ছে না একেবারেই। গেল ২৫ দিনে ১ কেজি চালও আসেনি গুদামে। এমনকি খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মিলাররা। তাদের সাফ জবাব- দাম না বাড়ালে চাল দিতে পারবেন না তারা।

মিলাররা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকার দাবি করলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি- মিলারদের বাদ দিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধানের সাথে চালও সংগ্রহ শুরু করলে সুফল আসবে অনেক বেশি।

তবে আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা বললেন, খাতা-কলমে গেল ৭ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হবার সুযোগ আছে মিলারদের। শুরুতে আগ্রহ না দেখালেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পুরণের আশা খাদ্য কর্মকর্তাদের।

চলতি আমন মৌসুমে চট্টগ্রাম এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টন ধান আর ৬৬ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদফতর। কিন্তু গেল ২৫ দিনেও সরকারী গুদামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধান এবং চাল না আসায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-১ ও ২

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বার বার মেয়াদ বাড়িয়েও মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না সরকার

আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

বার বার মেয়াদ বাড়িয়েও মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না সরকার। বাজারে ধানের দাম বেড়ে গেছে– এমন অজুহাতে নির্ধারিত দামে গুদামে চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। তাদের মতে, কৃষকের কাছ থেকে ধান আর মিলারদের কাছ থেকে চাল একসঙ্গে সংগ্রহ শুরু করায় বাজার এখন চড়া। তাই দাম না বাড়ালে লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দিতে পারবেন না তারা। যদিও মিলারদের এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল দেখছেন না চাল ব্যবসায়ীরা। আর খাদ্য অধিদফতর বলছে, মাঠের আমন ধান পুরোপুরি উঠে গেলে কেটে যাবে সব অনিশ্চয়তা।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সারাদেশে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। মাঠের ধান গোলায় ওঠাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কোথাও আবার বাজারেও উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। এমন ভরা মৌসুমে সরকারী নীতি অনুযায়ী বাজারে কৃষককে ন্যায্য দাম দিতে আর স্বাভাবিক মজুদের জন্য ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। নিয়মানুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে ধান আর মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহে এরই মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দাম ও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে খাদ্য বিভাগ কিছু ধান পেলেও মিলাররা চাল দিচ্ছে না একেবারেই। গেল ২৫ দিনে ১ কেজি চালও আসেনি গুদামে। এমনকি খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মিলাররা। তাদের সাফ জবাব- দাম না বাড়ালে চাল দিতে পারবেন না তারা।

মিলাররা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকার দাবি করলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি- মিলারদের বাদ দিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধানের সাথে চালও সংগ্রহ শুরু করলে সুফল আসবে অনেক বেশি।

তবে আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা বললেন, খাতা-কলমে গেল ৭ নভেম্বর থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হবার সুযোগ আছে মিলারদের। শুরুতে আগ্রহ না দেখালেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পুরণের আশা খাদ্য কর্মকর্তাদের।

চলতি আমন মৌসুমে চট্টগ্রাম এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টন ধান আর ৬৬ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদফতর। কিন্তু গেল ২৫ দিনেও সরকারী গুদামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধান এবং চাল না আসায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-১ ও ২