অর্থ পাচার নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট
- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
অর্থ পাচার নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থ পাচার ও আর্থিক অনিয়ম প্রতিরোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্য আদালতে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আলোচিত অর্থ পাচারকারি পিকে হালদার ইস্যুতে হাইকোর্টের স্বপ্রনোদিত রুলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে বড় একটি বাধার নাম নাম অর্থ পাচার। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ি ২০১৫ সালে বাণিজ্যে কারসাজির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এর মাঝে বিদেশের মাটিতে অর্থ পাচার করে একাধিক বার গণমাধ্যমের শিরোনাম হন পলাতক আসামী প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। এমন বাস্তবতায় পিকে হালদারসহ অর্থ পাচারকারি ও তাদের সহযোগীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে স্বপ্রনোদিত রুল জারি করে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার শুরু হয় পূর্ব নির্ধারিত সেই রুলের শুনানি। এসময় অর্থ পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারির দুর্বলতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত।
পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের আর্থিক অনিয়ম প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের তথ্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশও দেয় উচ্চ আদালত। এদিন হাইকোর্টের আদেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণকারি এন আই খানের পক্ষে এই মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য করা আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।