অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দুই দলের প্রার্থীরা
- আপডেট সময় : ০২:২৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার টানতে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই মেয়র প্রার্থীই। স্থানীয় সেবা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা বললেও তার রূপরেখা স্পষ্ট করতে পারেননি কোন প্রার্থীই। নিজেরা পরাজিত হলে নতুন মেয়রকে সহযোগিতা করতে চাওয়ার মতো উদারতাও দেখাতে পারেননি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মনোনীত এই প্রার্থীরা।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সবচে’ বড় সমস্যা- বর্ষাকালের জলাবদ্ধতা। যা নিরসনে প্রধান দুই প্রার্থীই ওয়াদাব দ্ধ। অন্তত নির্বাচনী ইশতেহার তাই বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- ২০১৭ সাল থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখানে সিটি কর্পোরেশনের কোন ভূমিকাই নেই। অথচ দুই প্রার্থীই তাদের ইশতেহার শুরু করেছেন জলাবদ্ধতা নিরসনকে প্রাধান্য দিয়ে।
চসিকের আয় বাড়াতে গেলবারের মেয়র আর বর্তমান প্রশাসক দু’জনই হোল্ডিং ট্যাক্স পূণঃমূল্যায়নের তাগিদ দিলেও দুই প্রার্থীই ইশতেহারে তা সহনীয় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষাবান্ধব নগরী গড়া আর স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তায় গুরুত্ব দিলেও কর্পোরেশনের মূল কাজ সড়কবাতি আর পরিচ্ছন্নতার কথা বলেননি কেউ।
চট্টগ্রাম বন্দর, সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন আর চট্টগ্রাম ওয়াসা– চারটি আলাদা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত এই চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় না হলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই সমন্বয়ের বাস্তব রূপরেখা কোন প্রার্থীই দিতে পারেননি বলে মনে করেন দেলোয়ার মজুমদার। আর অধ্যাপক সিকান্দার খানের মতে, কর্পোরেশনের কাজ আর মেয়রের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকলে আরো বাস্তবমুখী ইশতেহার দিতে পারতেন দুই প্রার্থীই।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারণার ধরণ বলছে- লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম আর বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। দুই প্রার্থীই মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রথমবারের মতো। তাই বাস্তবমুখীতার চেয়ে দুই প্রার্থীর ইশতেহারে ভোটার টানার ইস্যুই প্রাধান্য পেয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।