আমদানী করা বিপুল পরিমান চাল খালাস হলেও ফের অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
আমদানী করা বিপুল পরিমান চাল খালাস হলেও ফের অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। গেলো চারদিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে আড়াইশো থেকে চারশো টাকা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমদানী করা চালও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ফলে অস্থিরতা চালের বাজারে। এর থেকে উত্তরণে মিলারদের গুদামকে আনতে হবে জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায়। আর খাদ্য বিভাগ বলছে, সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করলে ছাড় দেবে না সরকার।
গেলো আমন মৌসুমের শুরুতে হঠাৎ করেই ধান চালের দাম বেড়ে যায় বাজারে। বাজার মনিটরিংসহ নানাভাবে উদ্যোগ নিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে শুল্ক কমিয়ে আমদানী উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু এলসির ক্ষেত্রে নানা শর্ত জুড়ে দেয়ায় চাল আমদানীকারকের সংখ্যা কমে যায়। ফলে চাল খালাস হলেও তা বাজারে না ঢুকে, গেছে সিন্ডিকেটের গুদামে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের চাল আমদানীর সিদ্ধান্তের আগে প্রতি বস্তা ২৪শো টাকায় বিক্রি হওয়া স্বর্ণা সিদ্ধ চাল আমদানী সিদ্ধান্তের পর বিক্রি হয় ২১শো টাকায়। আর রোববার একই চালের দর ছিলো ২৩ শো টাকা। একইভাবে ২৯ শো টাকার জিরাশাইল ২৭ টাকা পর্যন্ত নামলেও গতকাল বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকা। ২৩ শো টাকার মিনিকেট ২২ শো টাকায় বিক্রি হলেও এখন তার দাম বেড়ে ২৫শো ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের মিলার আর বড় বড় কয়েকজন আমদানীকারক সিন্ডিকেট করায় বাজারে তৈরী হয়েছে অস্থিরতা।
আর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দাবি, সরকার ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের আমদানী করা চাল এখনো আসছে।
কয়েকদিনের মধ্যেই এর প্রভাব চালের বাজারে পড়বে। তিন পার্বত্যজেলাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও খুলনা এলাকায় সিদ্ধ চালের চেয়ে আতপ চালের চাহিদা অনেক বেশি। সরকার সিদ্ধ চাল আমদানীর সুযোগ দিলেও আতপ চালের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায়নি।