০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন মন্ত্রী আটকের পর একবছরের জরুরি অবস্থা জারি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন মন্ত্রী আটকের পর একবছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সুয়েকে এক বছর মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সংসদ অধিবেশন। সম্প্রচার বন্ধ টিভি, রেডিও এবং ইন্টারনেট। এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বন্দীদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিল দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুচির দল এনএলডি জয় পায়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে দাবি করে নির্বাচনে ৮.৬ মিলিয়ন ভোট জালিয়াতি হয়েছে। ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগে রোববার রাতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি, রাষ্ট্রপতি এবং জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটকের পর দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের আটকের পর দেশটির বড় শহরগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানী নাইপিডো এবং প্রধান শহর ইয়ানগনের রাস্তায় সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে । স্থগিত করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশন । টেলিফোন, ইন্টারনেট ও টিভি চ্যানেল সম্প্রচারও বন্ধ করা হয়েছে।

সামরিক বাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক ভিডিও ভাষণে সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লা ইং জানিয়েছেন, ক্ষমতা বুঝে নিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। এ ঘটনায় মুখপাত্র মায়ো নিউনত জনগণকে আইন মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ পরিকল্পনা আছে তাদের।

এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মিয়ানমারের নির্বাহী এবং বিচারিক ক্ষমতা সামরিক বাহিনীতে স্থানান্তরের ঘোষণার বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারে অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন মন্ত্রী আটকের পর একবছরের জরুরি অবস্থা জারি

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন মন্ত্রী আটকের পর একবছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সুয়েকে এক বছর মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সংসদ অধিবেশন। সম্প্রচার বন্ধ টিভি, রেডিও এবং ইন্টারনেট। এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বন্দীদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিল দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুচির দল এনএলডি জয় পায়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে দাবি করে নির্বাচনে ৮.৬ মিলিয়ন ভোট জালিয়াতি হয়েছে। ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগে রোববার রাতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচি, রাষ্ট্রপতি এবং জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটকের পর দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের আটকের পর দেশটির বড় শহরগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানী নাইপিডো এবং প্রধান শহর ইয়ানগনের রাস্তায় সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে । স্থগিত করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট অধিবেশন । টেলিফোন, ইন্টারনেট ও টিভি চ্যানেল সম্প্রচারও বন্ধ করা হয়েছে।

সামরিক বাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক ভিডিও ভাষণে সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লা ইং জানিয়েছেন, ক্ষমতা বুঝে নিয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। এ ঘটনায় মুখপাত্র মায়ো নিউনত জনগণকে আইন মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতারণার’ অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ পরিকল্পনা আছে তাদের।

এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মিয়ানমারের নির্বাহী এবং বিচারিক ক্ষমতা সামরিক বাহিনীতে স্থানান্তরের ঘোষণার বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।