এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান।দীর্ঘদিন তিনি শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারী শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। শুক্রবার বিকেলে বাসায় ফেরেন তিনি। শনিবার সকালে তার ইন্তেকালের খরব জানায় পরিবারের সদস্যরা। শুধু টেলিভিশন মাধ্যমই নয়,বহুমাত্রিক অভিনয়ের মাধ্যমে এটিএম শামসুজ্জামান একইসংগে সিনেমার পর্দাও কাঁপিয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এটিএম শামসুজ্জামান……… ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন।
১৯৬৫ সালে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৭৬-এ আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনা আসেন তিনি।
পরবর্তীতে টিভি নাটক এবং সিনেমায় বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে স্বকীয়তার সাক্ষর রাখেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন একাধিক। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
সর্বশেষ ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রধান করা হয় এই গুণী অভিনেতাকে। এটিএম শামসুজ্জামান মানুষ হিসেবেও সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।
তার মৃত্যুর খবরে শনিবার সকাল থেকেই বাসার সামনে ভিড় করেন,আত্মীয়স্বজন, ভক্ত ও এলাকাবাসী।
শোকের ছায়া নেমে আসে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সংস্কৃতিকর্মীরা বলছেন, সিনেমা ও টিভি নাটকে তিনি ছিলেন অসাধারণ।
কিংবদন্তি অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন রাজনীতিবিদরাও।
বাদ জোহর এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে। পরে সূত্রাপুর জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।