পুরোদমে চলছে কর্ণফূলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
- / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
করোনার ভয়াবহতা কাটিয়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে কর্ণফূলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে প্রথম টিউবের কাজ শেষে, এগিয়ে গেছে দ্বিতীয় টিউবের কাজ।নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করার কথা জানান প্রকল্পের পরিচালক। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন,এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে মিরসরাইয়ের মতো আনোয়ারাকেও ইকোনোমিক জোনে প্রস্তুত করতে হবে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চেহারা পাল্টে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরেকধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্প চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই সুরঙ্গপথ তেরীর কাজ শুরু হয় ২০১৯-এর শুরুতে।করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও আবার তা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি টিউবের কাজ শেষ। অন্যটির কাজও এগিয়ে চলেছে।প্রথম টিউবের ভেতরে এখন সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নদীর তলদেশে গাড়ি চালানোর আশা ব্যক্ত করেন প্রকল্প পরিচালক।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়কপথে চট্টগ্রামকে যুক্ত করবে এই টানেল।ভবিষ্যতে মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে ঢাকার সেতুবন্ধন তৈরীতে যে এশিয়ান হাইওয়ে তৈরীর পরিকল্পনা আছে সেখানেও ভুমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু টানেল। তাই নদীর ওপারে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দিলেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
কর্ণফূলীর ওপারে আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলাকে ঘিরে পরিকল্পীত নগরায়নের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে ইকোনোমিক জোন নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা বাস্তবায়ন হলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে, তবে পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকলে আশানুরুপ সুফল আসবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
টানেলের ওপারে আনোয়ারার একপাশে রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। অন্যপাশে তৈরী হবে চায়না ইপিজেড। এর মাঝে আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন দেশীয় উদ্যোক্তারাও। তাই টানেল ব্যবহারের শর্ত আর নতুন এই ইকোনোমিক জোনে ব্যবসায়ীদের জন্য কি সুযোগ-সুবিধা থাকছে তা স্পষ্ট করলে টানেলের সঙ্গে নদীর ওপারে বেসরকারী উন্নয়নও দৃশ্যমান হতো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।