হঠাৎ করেই বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বেড়েছে অস্বাভাবিক লবনাক্ততা
- আপডেট সময় : ০২:০০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
হঠাৎ করেই বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বেড়েছে অস্বাভাবিক লবনাক্ততা। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে ইলিশের প্রজনন বাধাগ্রস্থ হবে। এছাড়া, মানুষের দেহেও দেখা দেবে নানা ধরনের জটিল রোগ। লবনাক্ততা বাড়ার কারন চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
বেশ কিছুদিন ধরে কীর্তনখোলার পানিতে অতিরিক্ত লবনাক্ততা দেখা দিয়েছে। গোসল, হাড়ি-পাতিল ধোয়া এবং নদীর পানি দিয়ে চা তৈরির ফলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। নদীর কাছাকাছি বিল ও ফসলের খেতেও লবনাক্ততা হানা দিয়েছে। নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুকুরের পানিতেও ধরা পড়েছে।
গত সাত মার্চ কীর্তনখোলা নদীর তিনটি স্থান থেকে সংগৃহীত পানিতে লবনাক্ততা ছিল এক হাজার ৩৬০ ইলেকট্রিক কনডাকটিভিটি। অথচ এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও ২০২০ সালে কীর্তনখোলা নদীর পানিতে এর গড় ছিল ৩৩০ থেকে তিন’শ। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে এটা অস্বাভাবিক লবনাক্ততা।
লবনাক্ততা বেশি দিন স্থায়ী হলে মিঠা পানির আধার নষ্ট হয়ে যাবে। মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি দেখা দেবে। পরিবেশেও এর প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করে সুশীল সমাজ।
ঘন ঘন পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিশ্লেষন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় পরিবেশ দপ্তর।
নদীর বিভিন্ন স্থানের চ্যানেলের গভীরতা বাড়িয়ে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান, এই বিশেষজ্ঞ।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারনে লবনাক্ততা বেড়েছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।