করোনা চিকিৎসায় হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি এক বছরেও পুর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ
- আপডেট সময় : ০১:৫২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি এক বছরেও পুর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, অচল যন্ত্রাংশ দিয়ে পরিত্যাক্ত একটি ভবনকে সংস্কার করে হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হলেও চিকিৎসার কোন পরিবেশই নেই এখানে। এ ব্যপারে কথা বলতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিত্র এটি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম কোভিড ডেটিকেটেড এই হাসপাতাল। একই চিত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতালসহ সবগুলো হাসপাতালের। এমনকি ব্যায়বহুল বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও সাধারণ শয্যা থেকে শুরু করে আইসিইউ বেড কোথাও ফাঁকা নেই।
বিপরীত চিত্র খুলশির এই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ১২ টি আইসিইউ বেড, ১০ টি ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলাসহ করোনা রোগীদের চিকিৎসার সব উপকরণই আছে এখানে। শুধু রোগী নেই একজনও।
করোনার প্রথম সংক্রমনে বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি বাধ্যতামুলক করে প্রজ্ঞাপন জারী করার পর, দায় এড়াতে নিজেদের হাসপাতালে সেবা না দেয়ার শর্তে কথিত পুর্ণাঙ্গ এই হাসপাতালটি তৈরী করে দেয় বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সমিতি। তাদের দাবি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে হাসপাতালটি সাজিয়ে দিলেও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিকল্পনা আর উদ্যোগের অভাবে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
চিকিৎসক নেতাদের দাবি, এতদিন হেলা ফেলা করলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় একটু পরিকল্পিতভাবে এই অবকাঠামোকে কাজে লাগানো উচিত স্বাস্থ্য বিভাগের।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আন্ডারে পরিচালিত এই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মকর্তা।