টানা ১৯ দিনের লকডাউনে চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
তিন দফায় টানা ১৯ দিনের লকডাউনে চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে। ২৫ শতাংশ শনাক্তের হার নেমেছে ১৪ শতাংশে। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কারণ লকডাউন শিথিলতার সুযোগে আগের মতো জনসাধারণের বেপরোয়া চলাফেরার পাশাপাশি ভারত থেকে নতুন ভেরিয়েন্টের করোনা প্রবেশের শংকাও করছেন তারা। আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবিকার তাগিদে সরকার লকডাউন শিথিল করতে বাধ্য হলেও বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। জনসাধারণের মধ্যে বিধিনিষেধ মানাতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোকেও কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
গেল বছর করোনা ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর অনেকটা স্থিমিত থাকলেও গেল মাসের শেষ সময় থেকে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী তিন দফায় টানা ১৯ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন চলাকালেও মোট নমুনা পরীক্ষার অন্তত ২৫ থেকে ২৬ শতাংশ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হতে থাকে। তবে এখন তা ১২ থেকে ১৩ শতাংশে নেমেছে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও।
তবে এতে সন্তুষ্টু নয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ থেকে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণায় ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ভারতে শনাক্ত হওয়া ট্রিপল মিউট্যান্ট করোনা ভাইরাস প্রবেশের আশংকাও করছেন তারা।
লকডাউন শিথিলের সুযোগে আগের মতো বেপরোয়া হলে ভারতের মতো ভয়াবহ পরিস্থির আশংকাও এই চিকিৎসকের।
আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়িয়েই মোকাবিলা করতে হবে মরণব্যাধী ভাইরাসকে।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হলেও অন্ততপক্ষে মাস্ক পরা আর বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি সরকারকে টিকা দিয়া কার্যক্রম আরো তরান্বিত করার তাগিদও দিয়েছেন তারা।