অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনের মজুদ ফুরিয়ে এসেছে
- আপডেট সময় : ০২:২৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে আনা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনের মজুদ ফুরিয়ে এসেছে। অন্যান্য সোর্স থেকে ভ্যাকসিন আনতে চেষ্ঠা চালাচ্ছে সরকার। তবে এই মুহুর্তে ভ্যাকসিনের চেয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে মনোযোগী হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। একইসঙ্গে নতুন এই ভাইরাস নিয়ে দেশীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণার সুযোগ করে দিতে করোনা সম্পর্কিত তথ্যসুত্রগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার আহবানও জানিয়েছেন তারা।
আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা দেয়া শুরুর দু মাসের মধ্যেই মজুদ ফুরিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। যে পরিমান ভ্যকসিন এখন স্টোরে আছে তা দিয়ে বড়জোড় দু সপ্তাহের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই বাস্তবতায় শুরু থেকে শুধু ভারতের ওপর নির্ভরশীল হলেও এখন চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য উৎসের খোঁজে নেমেছে সরকার। করোনা মোকাবিলায় যা অনেক আগেই করা উচিত ছিলো বলে মনে করেন এই সংক্রোমণ রোগ বিশেষজ্ঞ।
আর জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির এই সংগঠকের মতে, যে কোন টিকা আবিস্কারের আগে যতটা গবেষণার প্রয়োজন করোনার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। তাই টিকা প্রয়োগের পাশাপাশি গবেষণায় জোর দিতে হবে সরকারকে। সংক্রোমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইমরান বিন ইউনুস মনে করেন, শুরু থেকেই করোনা সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে এক ধরণের রাখ-ঢাক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই এই এক বছরে যতটা এগোনোর কথা ছিলো তা পারেনি বিজ্ঞান।
আর ডা. মাহফুজুর রহমানের মতে যেহেতু পর্যাপ্ত টিকার মজুদ নেই সরকারের কাছে তাই ব্যাপক এন্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের অগ্রাধিকারে আনার পরামর্শ তার।এই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, বার বার রূপ পরিবর্তন করা মরণ ব্যাধী ভাইরাস সম্পর্কে যেহেতু এখনো পুরোটা জেনে উঠতে পারেনি বিজ্ঞান। তাই আপাতত ভ্যকসিনের চেয়েও স্বাস্থ্য বিধি মানাতে আর জনসমাগমের উৎসগুলো বন্ধ করার পরামর্শ তাদের।ফুটেজ-৩