আজ পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর ১৬০তম জন্মজয়ন্তী
- আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্ম জয়ন্তী। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু।
১৮৬১ সালের এই দিনে কলকাতায় জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়। বিশ্বের দরবারে বাঙালিদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেও শিখিয়েছেন কবিগুরু। গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায়, সুরে ও বিচিত্র গানের বাণীতে, অসাধারণ সব দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধে, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি সংলগ্ন গভীর জীবনবাদী চিন্তা জাগানিয়া লেখায় এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চির নবীন। প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দু’বছর ধরে পৃথিবী যখন ধুঁকছে মহামারি করোনায়। এই সময়েও কবিগুরুর গান, কবিতা, সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জোগায়, মনকে শান্ত করে। এবার বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তীতে ছায়ানটের আয়োজন ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রচার হবে। এবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারি বেতার-টেলিভিশনে কবিগুরুর স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে।
কবি গুরুর স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে বিশ্বকবির ১৬১ জন্মবার্ষিকীতে এবার নেই কোন আয়োজন। গেলো বছরের মতো এবারও করোনা মহামারীর কারণে সকল আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে। সেই শিলাইদহে আজ সুনসান নিরবতা। নেই কোন কলরব, উৎসবের আমেজ। দুবছর আগেও দেশের রবীন্দ্র গবেষকদের অংশগ্রহণে আলোচনা, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, গান, কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রবীন্দ্রমেলার আয়োজন করতো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন। ১৯১৩ সালে এ শিলাইদহে বসেই কবি গুরু গীতাঞ্জলী অনুবাদ করে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।