চীনের টিকা পেতে দেরি হওয়ায় কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীনের টিকা পেতে দেরি হওয়ায় কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এ টিকার যৌথ উৎপাদনে গেলে উভয়পক্ষই লাভবান হবে। সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনা টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। এর আগে চীন থেকে উপহার হিসেবে দেয়া ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা ভোরে ঢাকায় আসে। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চীনের কাছ থেকে ৫ কোটিরও বেশি টিকা কেনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
চীনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া ৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা এবং এডি সিরিঞ্জ নিয়ে বুধবার ভোরে বিমান বাহিনীর সি-১৩০-জে পরিবহন বিমান কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে। ভারত থেকে আনা সেরামের ভ্যাকসিনের পর দ্বিতীয় কোনো দেশ হিসেবে চীন থেকে এই ভ্যাকসিন দেশে আসল।
এর পর বেলা সাড়ে ১১ টায় রষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে সিনো ফার্মের এই ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের হাতে তুলে দেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীনে যখন করোনার ভয়াবহ অবস্থা। তখন বাংলাদেশ পাশে দাঁড়িয়েছে। তা কখোনো ভুলবে না দেশটি।
(চিনো ফার্মের এই টিকা চীন ছাড়াও বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। তার পরও চীনের পাঁচ লাখ টিকা উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। সামনের দিনগুলোতে আশা করি, আমরা আরও টিকা দিতে পারবো। দক্ষিণ এশিয়ায় ছয় দেশের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে আমরা একে অপরকে সহায়তা করতে পারবো বলে আশা করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে আরও বেশি টিকা কেনা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিমাসে কিছু কিছু করে টিকা পাবে বলে আশা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না হওয়ায় দেশীয় বিশেষজ্ঞ প্যানেল চীনের টিকা গ্রহণ করেনি বলে আগে তা আনা হয়নি। তবে এ ভ্যাকসিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ ও চীন কোনো দেশেরই ভুল বোঝার অবকাশ নেই।
(চীন যদি ভ্যাকসিন পাঠাতে চায় তাহলে সেখানে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এ ভ্যাকসিনের কাঁচামাল এনে বাংলাদেশেও উৎপাদন করা সম্ভব। নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অনেক ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। বিকল্প উৎস হিসেবে আপাতত তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, তার সময়মতো টিকা পাঠাবে।)
সিনোফার্মের এসব টিকা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ক্ষুদ্র আকারে ব্যবহার করা হলেও শিগগিরই এসব ডোজ গণটিকা হিসেবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।