আর এক মাস পরেই বাজারে দেখা মিলবে সু-শ্বাদু ও রসালো হাড়ি ভাঙ্গা আম
- আপডেট সময় : ০২:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
আর এক মাস পরেই বাজারে দেখা মিলবে সু-শ্বাদু ও রসালো হাড়ি ভাঙ্গা আম। ইতিমধ্যে এ আম যেমন ভোক্তাদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তেমনি হাড়িভাঙ্গার চাষাবাদে স্বাবলম্বী হয়েছে রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা।সেই সাথে কর্মসংস্থানও হয়েছে বিপুল জনগোষ্টির। তবে গেল বছর থেকে এবার আমের বাজারে বাঁধ সেধেছে লকডাউন। তবে প্রয়োজন বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের সহযোগীতা।
ধানের বাজারে অব্যাহত লোকসানে যখন দিশেহারা কৃষক, অন্য ফসল চাষাবাদে উৎপাদন খরচ উঠাই দায়।ঠিক এমন এক সময়ে হারিভাঙ্গা আমচাষের সুচনা করেন মিঠাপুকুরের আঁখিরাহাট এলাকার চাষি আব্দুস সালাম সরকার।
খুব অল্প সময়ে স্থানীয় বাজারে বেশ হাড়িভাঙ্গা আম জনপ্রিয়তা পেলে আমচাষে আগ্রহ বাড়তে থাকে কৃষকদের। ফলে চাষাবাদ পরিবর্তন করতে থাকে কৃষকরা। স্বাদে অতুলনীয় মাংসাশী ও রসালো এই আমের সম্প্রসারণে কাজ শুরু করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বাড়তে থাকে আমের বাগান। ধানের বদলে আমই ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয় কৃষকদের।
প্রায় ৩৫ বছর আগে হারিভাঙ্গা আমের জাতিটির দেখা মিললেও দেশের বাজারে এ আমের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়ে ১৫ বছর আগে। দিন দিন বাড়তে থাকে আমে বাগান। ফলে পিছন ফিরে আর তাকাতে হয়নি কৃষকদের।
গেল বছর আমের ফলন ভাল হলেও এবার বাধ সেধেছে অনাবৃষ্টির আর শিলা বৃষ্টি। আম পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রসাশনের সহযোগীতা চেয়েছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে ৪হাজার হেক্টর জমিতে বানিজ্যিক ভাবে আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার হেক্টরেই রয়েছে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান। আর জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, আমের বাজারজাত করনে সবধরনের সহযোগীতা করবেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছন, অনুকুলআবহাওয়া আর সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা থাকলে এ বছরও ১শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার।