করোনার দেড় বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের যোগান কমেছে
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
করোনার দেড় বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের যোগান কমেছে। এতে ভারত আর পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জাহাজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বাংলাদেশী শিপ ব্রেকাররা। তাই অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়াই অস্থির হয়ে উঠেছে রডের বাজার। প্রধান এই নির্মাণ সামগ্রীটির বাজারে স্থীতিশীলতা আনতে আসছে বাজেটে বিশেষ সুবিধা চান এই খাতের উদ্যোক্তারা। ৪ শতাংশ এআইটি প্রত্যাহারের পাশাপাশি করোনাকালে শুল্ক কমানোরও দাবি তাদের।
গেল বছরের প্রথম দিকে মাত্র ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা কেজি ছিলো রডের দাম। এক বছরের ব্যবধানে প্রধান এই নির্মাণ সামগ্রীটির দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। এতে দেশে চলমান বড় বড় প্রকল্পগুলোর পাশা-পাশি ব্যাক্তি পর্যায়ের নির্মাণ কাজেও নেমেছে স্থবিরতা।
ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ২ শতাধিক রি-রোলিং মিলের প্রধান কাঁচামাল অর্থাৎ স্ক্র্যাপ লোহার অন্তত ৭০ শতাংশের যোগান আসে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের সংকট দেখা দেয়ায় স্ক্র্যাপের মজুদ কমেছে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে।
এই খাতের উদ্যোক্তাদের দাবি, দু’বছর আগে যেখানে ভ্যাট-ট্যাক্স মিলিয়ে প্রতিটন স্ক্র্যাপে আড়াই হাজার টাকার কাছাকাছি দিতে হতো সরকারকে; এখন দিতে হচ্ছে ৪ হাজার টাকারও বেশি। একই সাথে কেটে রাখা অগ্রিম ইনকাম ট্যাক্স বা এআইটিও ফেরত পাচ্ছেন না তারা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অভ্যন্তরিন বাজারে।
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, অস্থির রডের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এআইটি প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রতিটন স্ক্র্যাপ লোহায় ১৫ শো টাকার ভ্যাট কমিয়ে ৫ টাকার কাছাকাছি করতে হবে এই বাজেটে।
পরিসংখ্যন বলছে, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে ২০১৯ সালেও শীর্ষ স্থানে ছিলো বাংলাদেশ, ২য় পাকিস্তান ও তৃতীয় অবস্থানে ছিলো ভারত। কিন্তু করোনার দেড় বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতার কারণে এই খাতের শীর্ষে এখন ভারত। আর বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে আসছে বাজেটে সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে বাংলাদেশকে ফের শীর্ষ অবস্থানে নেয়ার প্রত্যাশা জানান এই খাতের উদ্যোক্তারা।