০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

পতিত জমির পরিকল্পিত ব্যবহারে, দেশের উৎপাদন দিয়েই ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশীয় সোর্স থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদনে মোট চাহিদার অন্তত ৭০ শতাংশ এখনো ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অন্যতম এই পণ্যটি এখন প্রায় পুরোটায় আমদানী নির্ভর। এতে সুযোগ পেলেই ফায়দা লুটছে অসাধু সিণ্ডিকেট। অথচ শুধুমাত্র পতিত জমির পরিকল্পিত ব্যবহার আর বাজার ব্যবস্থাপনার নিশ্চয়তা পেলে দেশে উৎপাদিত ফসল দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব ভোজ্য তেলের। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষি বিভাগের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সুফল আসবে না।

প্রতিবছর বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে ১০ দশমিক ৫১ লাখ মেট্রিক টন। বিপরীতে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৩ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিকটন। ঘাটতি মেটাতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানী করতে হয় বছরে।

অথচ ক’বছর আগেও এতটা আমদানী নির্ভর ছিলো না ভোজ্য তেলের বাজার। সরিষা, সুর্যমুখী, তিল, তিষিসহ দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য দিয়েই মেটানো হতো চাহিদা। কিন্তু ধীরে ধীরে তেল জাতীয় খাদ্যশস্যের চাষাবাদ কমেছে।

গেল ৬ মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে প্রতিকেজি সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫০ টাকারও বেশি।পাম, সুপারসহ সবধরণের আমদানীনির্ভর ভোজ্য তেলও অনুসরণ করেছে সয়াবিনকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সরকারী নীতির খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

কৃষিবিদরা বলছেন, রবি মৌসুমে ৩০ শতাংশ আর খরিপ-১ মৌসুমে অন্তত ৭০ শতাংশ আবাদী জমি পতিত থাকে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। শুধু এই জমিকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে পারলে ভোজ্য তেলের চাহিদার অনেকটাই মেটানো সম্ভব।

আর সরকারের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৈল বীজ গবেষণা বিভাগ বলছে, উচ্চ ফলনশীল সুর্যমুখী, সয়াবিন, সরিষা ও তিলের বেশ কিছু নতুন জাতের বীজ উৎপাদন করেছেন তারা। সাম্প্রতি এই জাতের সরিষা চাষে আগ্রহও বেড়েছে কৃষকের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পতিত জমির পরিকল্পিত ব্যবহারে, দেশের উৎপাদন দিয়েই ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব

আপডেট সময় : ০১:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

দেশীয় সোর্স থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদনে মোট চাহিদার অন্তত ৭০ শতাংশ এখনো ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অন্যতম এই পণ্যটি এখন প্রায় পুরোটায় আমদানী নির্ভর। এতে সুযোগ পেলেই ফায়দা লুটছে অসাধু সিণ্ডিকেট। অথচ শুধুমাত্র পতিত জমির পরিকল্পিত ব্যবহার আর বাজার ব্যবস্থাপনার নিশ্চয়তা পেলে দেশে উৎপাদিত ফসল দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব ভোজ্য তেলের। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষি বিভাগের উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সুফল আসবে না।

প্রতিবছর বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে ১০ দশমিক ৫১ লাখ মেট্রিক টন। বিপরীতে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৩ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিকটন। ঘাটতি মেটাতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানী করতে হয় বছরে।

অথচ ক’বছর আগেও এতটা আমদানী নির্ভর ছিলো না ভোজ্য তেলের বাজার। সরিষা, সুর্যমুখী, তিল, তিষিসহ দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য দিয়েই মেটানো হতো চাহিদা। কিন্তু ধীরে ধীরে তেল জাতীয় খাদ্যশস্যের চাষাবাদ কমেছে।

গেল ৬ মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে প্রতিকেজি সোয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫০ টাকারও বেশি।পাম, সুপারসহ সবধরণের আমদানীনির্ভর ভোজ্য তেলও অনুসরণ করেছে সয়াবিনকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সরকারী নীতির খেসারত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

কৃষিবিদরা বলছেন, রবি মৌসুমে ৩০ শতাংশ আর খরিপ-১ মৌসুমে অন্তত ৭০ শতাংশ আবাদী জমি পতিত থাকে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। শুধু এই জমিকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে পারলে ভোজ্য তেলের চাহিদার অনেকটাই মেটানো সম্ভব।

আর সরকারের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৈল বীজ গবেষণা বিভাগ বলছে, উচ্চ ফলনশীল সুর্যমুখী, সয়াবিন, সরিষা ও তিলের বেশ কিছু নতুন জাতের বীজ উৎপাদন করেছেন তারা। সাম্প্রতি এই জাতের সরিষা চাষে আগ্রহও বেড়েছে কৃষকের।