দেশের প্রতিটি লড়াই আর অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
দেশের প্রতিটি লড়াই আর অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার মূলমন্ত্র ধারণকারী এই দলটির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাযাত্রাকে টেকসই করা।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, পুরান ঢাকার কে এম দাস রোডের রোজ গার্ডেনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হক খানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ। কালের পরিক্রমায় যা পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
১৯৫৩ ও ৫৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং ৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগ একসূত্রে গাঁথা। ইতিহাসের নানা পরিক্রমায়
জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চব্বিশ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম লড়াই আর ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন বাংলাদেশ।
৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলনের পর ১৯৯৬ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসে দলটি।
২০০১ ও ২০০৭ এর বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে এ দলটি।
আওয়ামী লীগ শুধু এই উপমহাদেশের পুরোনো দল ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারা বলে মনে করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
তাদের মতে, আওয়ামী লীগের আদর্শ ধরে রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করতে সাম্প্রদায়িকতাকে নির্মূল করাই এখন মূল কাজ। বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতেও বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা প্রতিটি নেতা কর্মীর।