প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছে দেশের ১৭ লাখ মানুষ
- আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
- / ১৫২৮ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে আসা প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছে দেশের ১৭ লাখ মানুষ। দ্বীতিয় পর্যায়ে চীন থেকে কিছু টিকা এলেও তা দেয়া হচ্ছে শুধু মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ফ্রন্ট লাইনারদের। পরিসংখ্যন বলছে টিকা গ্রহণ করা মানুষদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রকৃত লকডাউন কার্যকর করা কঠিন, তাই শুরু থেকে টিকা সংগ্রহে মনযোগী হলে সুফল আসতো অনেক বেশী।
গেল বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় বাংলাদেশে। সংক্রমনের হার মাঝে মধ্যে ওঠা নামা করলেও এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। একসময় শুধু শহর এলাকায় প্রাদুর্ভাব থাকলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম পর্যায়ে।
এরই মাঝে গেল ফেব্রুয়ারি থেকে বেশ হৈ-চৈ করে টিকা দেয়ার কার্যক্রমও শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা অনিহা থাকলেও সুফল পাওয়ায় আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে ভারত থেকে আনা টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় এক সময় স্থিমিত হয়ে যায় টিকা দেয়া কার্যক্রম। গবেষণা বলছে যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তারা অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
চিকিৎসক নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাই শুরু থেকে টিকা সংগ্রহে মনযোগী হলে সুফল আসতো অনেক বেশী।
আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকার ক্ষেত্রে শুরুতে একটি সোর্সের ওপর নির্ভরশীল হলেও এখন একাধিক সোর্স থেকে টিকা সংগ্রহে মনযোগী সরকার।
করোনার সংক্রমন রোধে গেল প্রায় দেড় বছরে দফায় দফায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু এতে কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। বিপরীতে জাতীয় অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় পড়েছে বিরুপ প্রভাব।