এবারও ঈদ বাজার নিয়ে শংকিত গাজীপুরের গুটিয়ার তাঁত ব্যবসায়ী ও কারিগররা
- আপডেট সময় : ০২:১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রকোপ বাড়ায় এবারও ঈদ বাজার নিয়ে শংকিত গাজীপুরের গুটিয়ার তাঁত ব্যবসায়ী ও কারিগররা। তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রিতে ধস নেমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুঁজির অভাবে শিল্পটি হারিয়ে যাবে বলে জানান তারা। তবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে বিধিনিষেধের কারণে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তাঁত পল্লীতে নেই কোনো ব্যস্ততা। প্রায় দেড় বছর ধরে কোনো অর্ডার না থাকায় পথে বসার অবস্থা পরিবারগুলোর।
নানা প্রতিকুলতার মাঝেও গাজীপুর মহানগরের গুটিয়ায় বংশানুক্রমে কাতান ও বেনারসী শাড়ি বুনে আসছে কয়েকটি তাঁতী পরিবার। তাদের হাতে তৈরি শাড়ি বিক্রি হয় রাজধানীসহ সারাদেশে। কিন্তু, করোনাকালে হতাশা বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, সূতা, রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্যের অস্বাভাবিকহারে দাম বেড়েছে। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কেনা-বেচায় মন্দা চলছে। ইতিমধ্যেই এই এলাকার প্রায় অর্ধেক তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এর সাথে জড়িতরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
শাড়ির চাহিদা ও দাম কম থাকায় শ্রমের মজুরিও আশারুনুরুপ পাচ্ছেনা কারিগররা।
ভারতীয় শাড়ি আমদানি বন্ধ ও প্রয়োজনীয় পূঁজি না পেলে শিল্পটি টিকে থাকবেনা বলে জানায়, উদ্যোক্তারা।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, জেলা প্রশাসক।
১৯৯০ সালেও সারাদেশে হস্তচালিত তাঁত ছিল প্রায় ১০ লাখ। বর্তমানে কমে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন লাখে।
এদিকে, কঠোর বিধি নিষেধে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ও দিঘুলিয়া ইউনিয়নের তাঁত পল্লিতে নেই কোনো ব্যস্ততা। তিন শতাধিক মহাজনের অধীনে ১৫ হাজার শ্রমিক সাড়ে চার হাজার তাঁত মেশিনে কাজ করে। লকডাউনের কারনে তাদের রুটি-রুজি বন্ধ রয়েছে।
বাড়ি যেতে না পারায় গোটা দশেক তাঁতে কাজ করছে কিছু শ্রমিক। এখানে উৎপাদিত থ্রী পিস, পাঞ্জাবির কাপড় এবং গায়ের চাদর যায় দেশের শীর্ষ সব নামী দামী ব্র্যান্ডের শোরুমে। করোনার কারনে ঈদ মৌসুমেও কাজ না থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে এ শিল্পটি।
করোনাকালে কোনো খাদ্য সহায়তা পায়নি বলে ক্ষোভ জানায়, তাঁত শ্রমিকরা। তাদের জন্য সহজ শর্তে প্রণোদনার চেষ্টা করা হবে বলে জানায় প্রশাসন। তাঁত শ্রমিকদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। শুধু আশ্বাস নয়, তাঁত পল্লিতে সুদিন ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান, সংশ্লিষ্টরা।