দাফনের জন্য মরদেহ’র সারি যেন থামছেই না রায়ের বাজার কবরস্থানে
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাপ রেড়েছে রাজধানীর একমাত্র করোনার ডেডিকেটেড কবরস্থান রায়ের বাজার কবরস্থানে। দাফনের জন্য মরদেহ’র সারি যেন থামছেই না এখানে। দাফন সংক্রান্ত কাজে প্রতিদিনই ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। মরদেহ দাফন ও সৎকারের সাথে জড়িতরা বলছেন, এখন অনেকটা মানবিক হয়েছেন স্বজনরা। করোনায় মৃত্যুর প্রথম দিকে কবরস্থানে মরদেহ ফেলে রেখে স্বজনদের চলে যাওয়ার যে প্রবণতা ছিলো, তা থেকে সরে এসেছেন অনেকেই। বর্তমানে মরদেহ গোসলের পরে অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।এদিকে ঢাকার বাইরের কয়েকটি জেলায় দাফনের চাপ বেশি বলে জানান তারা।
দেশে করণায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরী হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে যেমন রোগীর চাপ বাড়ছে তেমনি কবরস্থানেও বেড়েছে মরদেহ দাফনের চাপ। রাজধানীর একমাত্র করোনার ডেডিকেটেড কবরস্থান রায়ের বাজারের কবরস্থানের চিত্র এটি।
গত ক’মাস আগেও এই কবরস্থান ছিলো ফাঁকা। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ফাঁকা জায়গা গুলো আর ফাঁকা নেই। ভরে গেছে নতুন নতুন কবরে। একের পর এক মরদেহ বহনকারী গাড়ি আসে এই কবরস্থানে। তাদেরকে সমাহিত করেন কবরস্থান সংশ্লিষ্টরা। এ পর্যন্ত এই কবরস্থানে করোনায় মারা যাওয়া প্রায় ১হাজার তিনশোরও বেশি লাশ দাফন করা হয়েছে। এই সংখ্যা বেড়েই চলছে প্রতিদিন।
মরদেহগুলো গোসল এবং দাফনের কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন অনেকটা মানবিক হয়েছেন মৃতব্যক্তির স্বজনরা। ঢাকায় মারা গেলে গোসল করিয়ে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।
সটঃ হামজা শহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আল-মারকাজুল ইসলাম
ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি জেলায়ও মরদেহ দাফনের চাপ বেড়েছে বলে জানালেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন সেবা কার্যক্রমের পরিচালক। হঠাৎ করেই মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় দাফন ও সৎকার করতে দাফন ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে এভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।