চট্টগ্রামে কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পুরণ হয়নি আড়ৎদারদের
- আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পুরণ হয়নি আড়ৎদারদের। গ্রামে-গঞ্জে লবন দেয়ার পাশাপাশি সরাসরি ট্যানারীতেও কাঁচা চামড়া বিক্রির নজির হয়েছে এবার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কম হলেও কয়েক বছরের মধ্যে এবার পশুর চামড়া নষ্ট হয়নি একেবারেই। ট্যানারী মালিকরা একটু আন্তরিক হলে আগামী বছর থেকে ফের ঘুরে দাড়াবে সম্ভাবনাময় এই শিল্প কাঁচামালের বাজার। আর বাজার ব্যবস্থাপনার এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ট্যানারী মালিকরা।
গেল বছরও মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন আড়ৎদারের কাছে জিম্মি ছিলো শত শত মৌসুমী ব্যবসায়ী আর ফরিয়ারা। সরকার যে দামই বেধে দিক আড়ৎদারদের সিণ্ডিকেট যা বলবে সে দামেই চামড়া বিক্রি করতে হতো একদিনের ব্যবসায়ীদের।
কিন্তু এবার সে ধারা ভেঙ্গে গেছে। আড়তদারদের মুখোপেক্ষি না হয়ে গ্রাম গঞ্জে এমনকি শহরে গুদাম ভাড়া নিয়ে এবং রাস্তার পাশে লবণজাত করেছে অনেকে।
আতুরার ডিপোর আড়ৎপাড়ায় এবার সাড়ে তিন লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু সকাল পর্যন্ত চামড়া এসেছে দেড় লাখের কাছাকাছি। আড়তদাররা বলছেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে চামড়া এনেছিলেন তার সবটাই কিনেছেন তারা। ট্যানারী মালিকরা আন্তরিক হলে আগামী বছর থেকে ফের আগের মতো চাঙ্গা হয়ে উঠবে চামড়া ব্যবসা।
পপ-চট্টগ্রামের কালুরঘাটের রীফ লেদার ট্যানরি। প্রতি বছর লবনজাত চামড়া কিনলেও এবার বিপুল পরিমান কাঁচা চামড়াও কিনেছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মকর্তাদের দাবি, আড়ৎদারদের বাইরে গ্রাম গঞ্জের অনেক ব্যবসায়ী এমনকি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিরাও সরাসরি ট্যানারীতে চামড়া দিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বাজার ব্যবস্থাপনার এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন এই কর্মকর্তা।
প্রতি বছর কোরবানীর আগে প্রতি বর্গফুট লবনজাত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু ট্যানারী পর্যন্ত আসতে একটি চামড়া অন্তত ৫ টি হাত বদল হয়। তাই চামড়ার প্রথম মালিক দাম পান নামমাত্র। এই ধারার পরিবর্তন হলে চামড়া ব্যবসার দুর্নাম ঘুচবে এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।