গরু মোটাতাজা করতে নানা ওষুধ ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে চামড়ার গুণগত মান
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
কোরবানী পশুর চামড়া বাজারে ধস ঠেকানো যায়নি এবারো। সরকার নির্ধারিত মুল্যের ধারের কাছেও বিক্রি হয়নি কোথাও। অথচ ১০ বছর আগেও সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশী দামে চামড়া কিনতো ট্যানারী মালিকরা। তাদের দাবি কোরবানীর পশুকে তাড়াতাড়ি মোটাতাজা করতে নানা ধরণের ওষুধের ব্যবহার বেড়েছে খামারগুলোতে। এতে পশুগুলো দ্রুত বড় হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে চামড়ার গুনগত মান। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমছে বাংলাদেশের চামড়ার। তবে প্রাণী সম্পদ বিভাগের দাবি ট্যানারী মালিকদের এমন অভিযোগ সত্য নয়।
কোরবানীর বাজারে এমন মোটাতাজা গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। আর তাই বাজার ধরতে পশুকে হৃষ্টপুষ্ট করার প্রতিযোগীতা শুরু হয় খামারগুলোতে। চর্বিযুক্ত খাবারের পাশাপাশি গ্রোথ বৃদ্ধির বিভিন্ন ধরনের ওষুধেরও ব্যবহার করেন অনেকেই। তাই ৬ মাস থেকে ৮ মাস বয়সি বাছুর গুলো বেশ বড়সর হয়ে ওঠে দেখতে দেখতেই। এতে মাংস উৎপাদন বাড়লেও চামড়ার মান আর আগের মতো থাকছে না।
ট্যানারী মালিকদের দাবি, কোরবানীর পশুগুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রে বয়স কম হওয়ায় চমড়ায় পরিপুর্ণতা যেমন আসে না তেমন ভাজ ও চর্বি থাকে তুলনামুলক বেশি। ফিনিস গুডসেও যার প্রভাব থাকে।
খামার মালিকরা বলছেন মাংস উৎপাদনের টার্গেট নিয়েই কোরবানীর পশু মোটাতাজা করেন তারা। তাই একটি পশুর পেছনে এক বছরের বেশি সময় দিতে চান না অধিকাংশ খামারমালিক।
আর প্রাণীসম্পদ বিভাগ বলছে, কোরবানীর পশু জবাইয়ের পর তার চামড়াটি ট্যানারী পর্যন্ত পৌছতে অন্তত ৪ টি হাত ঘুরতে হয়। সেখানেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাই চামড়ার গুনগত মান নষ্টের জন্য শুধু খামারীদের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
ক’বছর আগেও প্রতি স্কয়ারফুট কোরবানী পশুর চামড়ার দাম ছিলো ১০০ টাকার ওপরে। এবার সরকার প্রতিবর্গফুট লবনযুক্ত চামড়ার দাম বেধে দিয়েছিলো ঢাকায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা। কিন্তু ঢাকার বাইরে অধিকাংশ এলাকায় কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে।