তালেবান মুখপাত্রের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে ভরসা পাচ্ছে না পশ্চিমা বিশ্ব
- আপডেট সময় : ০২:০০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
তালেবান মুখপাত্রের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে ভরসা পাচ্ছে না পশ্চিমা বিশ্ব। তারা বলছেন, কথায় নয়, কাজ দেখে তালেবানকে মূল্যায়ন করা হবে। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাসহ বিশ্ব নেতারা বলছেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নতুন শরনার্থীর সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন তারা। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, সেনা প্রত্যাহার করে নিলেই এমন অবস্থা তৈরিই হতো।
বিশ্ব নেতাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তালেবানরা। আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশসহ কাবুল দখলে নেয়ায় উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সবাইকে সাধারণ ক্ষমা এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ভালো ভালো নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছে তালেবান। কিন্তু তাতেও ভরসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না বাইডেন-বরিসসহ সবাই। এ নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন…. ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, নারীসহ সবার মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো এবং আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে না দেয়া হলেই কেবল তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে তারা। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বিবৃতিতে জোটের এই অবস্থান তুলে ধরেন। বোরেল জানান, কাবুল থেকে ইইউ’র কর্মী এবং আফগান সহায়তাকারীদের প্রত্যাহার করা হবে।
এদিকে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন-সন্ত্রাসবাদ, অপরাধ এবং মানবাধিকার বিশেষ করে নারীদের শিক্ষাগ্রহণের অধিকারের প্রতি তাদের মনোভাব দেখা হবে।
তবে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করায় তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা তার দেশের নেই, বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
আফগানের সার্বিক নিরাপত্তা ও মানবাধিকারসহ আফগান নাগরিকদের জন্য সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফোনআলাপে ইমরান খানের সঙ্গে একমত পোষণ করেন বরিস জনসন ও জার্মান চ্যান্সেলর।
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সাফাই গাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যখনই সেনা সরিয়ে নেয়া হতো তখনই এমন অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হতো।
আফগানিস্তানে যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় প্রাণহানি এড়ানো এবং বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তৈরি না হয় সেদিকে জোর দিচ্ছে চীন। এক ব্রিফিং এমনটাই জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানস।
এদিকে আফগান ইস্যুতে আগামী ২৪ আগস্ট বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। একই ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবে জি-সেভেন।