ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে পাটের আবাদ
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। প্রায় ৭০ কোটি টাকার পাট ও পাটকাঠি উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বাজার দর নিয়েও খুশি কৃষক। আবারও সুদিন ফিরবে বলে আশা করছে তারা। পাট চাষে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে, কৃষি বিভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেঘনা-তিতাস অববাহিকার বিস্তীর্ন জমি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় আবাদ কমে গেছে। জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পাটের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশী। এবার তিন হাজার ৮৪০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে রয়েছে দেশী, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতীয় পাট। জেলায় এবার প্রায় ৭০ কোটি টাকার ৩৮ হাজার বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে।
চাষিরা জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু, পানি কম থাকায় প্রক্রিয়াকরণে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া, প্রতি কেজি বীজ কিনতে হয়েছে এক হাজার টাকা দরে। তবে করোনাকালেও ভাল দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। প্রতি মন পাট ২৭’শ থেকে ২৮’শ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা। আর প্রতি কুড়ি পাটখড়ি তিন’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে লাভবান হচ্ছে পাট চাষিরা।
পাটের আবাদ জনপ্রিয় করতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
পাটের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে আবারও সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা করে সংশ্লিষ্টরা।