০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশে বেশ ক’বছর ধরেই নেই তেমন নতুন বিনিয়োগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে বেশ ক’বছর ধরেই নেই তেমন নতুন বিনিয়োগ। তার ওপর চড়াও হয়েছে করোনার প্রভাব। ফলে চাহিদার অভাবে একদিকে বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান, বাকীরাও টিকে থাকতে চালাচ্ছে ছাঁটাই। এতে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। নতুন কর্মসংস্থান না হওয়ায় সবচে’ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষিত তরুণরা। সেই সাথে দিশেহারা নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষও। আয়ের মূল উৎস হারিয়ে জীবিকার সন্ধানে নগণ্য বেতনে অনেক বেমানান চাকরি নিতেও বাধ্য হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষিতরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান মন্দা অব্যাহত থাকলে ২০২২ সাল নাগাদ বেকার হতে পারেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। যাদের উপর নির্ভরশীল অন্তত ৫ কোটি মানুষ।

বিপ্লব হোসেন। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার বাড্ডায়। ২৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন একটি ওয়ার্কশপে। করোনার লকডাউনে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে পেটের দায়ে রিক্সা চালাতে শুরু করায় আয় নেমে এসেছে ১০ হাজার টাকারও নীচে। আর ফিরতে পারেননি পুরনো পেশায়।

আমির হোসেন একটি কারখানার হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন ১০ বছর ধরে। করোনার মাঝে পড়েন ছাঁটাইয়ের তালিকায়। কয়েক মাস বেকার থেকে এখন ভাড়ায় মোটরবাইক চালাতে শুরু করলেও আয় নেমেছে অর্ধেকে।

শোভন কাজ হারিয়ে এমন হাজারো মানুষ গ্লানি আর অভাবের কবলে পড়েছে অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনার প্রভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে ঢাকাসহ সারাদেশে নতুন বেকারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় কোটি। এমন পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান ঠিক রাখতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

করোনাকালে রফতানি বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারেও কমেছে চাহিদা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের মতে, চাহিদা কমায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা ছোট করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এদিকে, আইএলও বলছে, প্রতিবছর বাংলাদেশের কর্মবাজারে আসে কমপক্ষে ২০ লাখ তরুণ। করোনাকালে এরাই সবচে’ ঝুঁকিতে পড়েছে। গবেষণা বলছে, গত এক বছরে তরুণদের বেকারত্বের হার হয়েছে দ্বিগুণ।

বিনিয়োগ কম থাকা এবং বৈশ্বিক অথনৈতিক মন্দার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ। তাতে বেকার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাকরি বাজারের মন্দা কাটিয়ে উঠতে সরকারের সুনিদিষ্ট পরিকল্পনার কথাই বলছেন উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশে বেশ ক’বছর ধরেই নেই তেমন নতুন বিনিয়োগ

আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

দেশে বেশ ক’বছর ধরেই নেই তেমন নতুন বিনিয়োগ। তার ওপর চড়াও হয়েছে করোনার প্রভাব। ফলে চাহিদার অভাবে একদিকে বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান, বাকীরাও টিকে থাকতে চালাচ্ছে ছাঁটাই। এতে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। নতুন কর্মসংস্থান না হওয়ায় সবচে’ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষিত তরুণরা। সেই সাথে দিশেহারা নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষও। আয়ের মূল উৎস হারিয়ে জীবিকার সন্ধানে নগণ্য বেতনে অনেক বেমানান চাকরি নিতেও বাধ্য হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষিতরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান মন্দা অব্যাহত থাকলে ২০২২ সাল নাগাদ বেকার হতে পারেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। যাদের উপর নির্ভরশীল অন্তত ৫ কোটি মানুষ।

বিপ্লব হোসেন। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকার বাড্ডায়। ২৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন একটি ওয়ার্কশপে। করোনার লকডাউনে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে পেটের দায়ে রিক্সা চালাতে শুরু করায় আয় নেমে এসেছে ১০ হাজার টাকারও নীচে। আর ফিরতে পারেননি পুরনো পেশায়।

আমির হোসেন একটি কারখানার হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন ১০ বছর ধরে। করোনার মাঝে পড়েন ছাঁটাইয়ের তালিকায়। কয়েক মাস বেকার থেকে এখন ভাড়ায় মোটরবাইক চালাতে শুরু করলেও আয় নেমেছে অর্ধেকে।

শোভন কাজ হারিয়ে এমন হাজারো মানুষ গ্লানি আর অভাবের কবলে পড়েছে অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনার প্রভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে ঢাকাসহ সারাদেশে নতুন বেকারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় কোটি। এমন পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান ঠিক রাখতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

করোনাকালে রফতানি বাজারের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারেও কমেছে চাহিদা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের মতে, চাহিদা কমায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা ছোট করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এদিকে, আইএলও বলছে, প্রতিবছর বাংলাদেশের কর্মবাজারে আসে কমপক্ষে ২০ লাখ তরুণ। করোনাকালে এরাই সবচে’ ঝুঁকিতে পড়েছে। গবেষণা বলছে, গত এক বছরে তরুণদের বেকারত্বের হার হয়েছে দ্বিগুণ।

বিনিয়োগ কম থাকা এবং বৈশ্বিক অথনৈতিক মন্দার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ। তাতে বেকার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাকরি বাজারের মন্দা কাটিয়ে উঠতে সরকারের সুনিদিষ্ট পরিকল্পনার কথাই বলছেন উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা